নিজস্ব প্রতিবেদন: Yes Bank-এর বিপর্যয়ের জন্য ইউপিএ জমানার ভুল নীতিকে দায়ী করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তাঁর বক্তব্য, বিপর্যয়ের শুরু  কংগ্রেসের আমলে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইয়েস ব্যাঙ্কের আর্থিক সংকট নিয়ে মোদী সরকারের আর্থিক নীতিকে কাঠগড়ায় তুলেছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী টুইট করেছেন, ,''নো ইয়েস ব্যাঙ্ক। প্রধানমন্ত্রী মোদী ও তাঁর ভাবনাই ভারতীয় অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে।''


ইয়েস ব্যাঙ্কের ঋণের বোঝা মোদী সরকারের জমানাতেই বেড়েছে বলে দাবি করে টুইট করেছেন পি চিদম্বরম।  নির্মলা সীতারমন দায় চাপিয়েছেন কংগ্রেসের ঘাড়ে। তাঁর কথায়,''বিরোধীরা আঙুল তুলছে। ওদের দোষারোপ করব না যদিও আমার কাছে কারণ রয়েছে।'' তাঁর অভিযোগ, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের কাজকর্মের জন্য একাধিক চ্যালেঞ্জে মুখে পড়েছে কেন্দ্র। তিনি বলেন,''বেশ কয়েকটি কর্পোরেটকে ধার দেওয়ায় ২০১৪ সালের আগে থেকে চাপে পড়েছিল ইয়েস ব্যাঙ্ক। ওরা বলছে, ইয়েস ব্যাঙ্ক নো ব্যাঙ্ক। এটা বলছে স্বঘোষিত ডাক্তাররা, যারা ইউনাউটেড ওয়েলস্টার্ন ব্যাঙ্ককে জোর করে আইডিবিআই ব্যাঙ্কের সঙ্গে সংযুক্ত করেছি। আইডিবিআই ডুবেছিল।''


চিদম্বরম আগেই টুইটারে দাবি করেছিলেন, ৫৫,৬৩৩ কোটি থেকে কীভাবে ৫ বছরে বকেয়া ঋণ ২৪১৪৯৯ কোটি হল, তার ব্যাখ্যা দেবেন অর্থমন্ত্রী?


বুধবার আরবিআই নির্দেশিকা জারি করে, এক মাসের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্কের আমানতকারীরা ৫০,০০০ টাকার বেশি তুলতে পারবেন না। ড্রাফট বা পে-অর্ডারের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা নেই। বিশেষ ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে ছাড়। অসুস্থতা, পড়াশুনো ও বিয়ের জন্য ৫০ হাজারের ঊর্ধ্বসীমা প্রযোজ্য নয়। ইয়েস ব্যাঙ্কের পরিচালন পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসক পদে বসানো হয়েছে স্টেট ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিএফও প্রশান্ত কুমারকে। ব্যাঙ্কের ২০ হাজার কর্মী বেতনও পাবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা, স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ও এলআইসি যৌথভাবে ইয়েস ব্যাঙ্কের ৪৯ শতাংশ অংশীদারিত্ব হাতে নিক। 


আরও পড়ুন- একুশে বাংলা বিজয়ের লক্ষ্যে রাজ্যের বিজেপি সাংসদদের ক্লাস নিচ্ছেন মোদী