নিজস্ব প্রতিবেদন: একজন ঋণদাতা যেন লোকসানের মুখে না পড়েন। মায়ের এই পরামর্শের পরই টেলিকম ব্যবসা গোটানোর সিদ্ধান্ত নেন অনিল অম্বানি। দিন কয়েক আগেই রিলায়্যান্সের ওয়ারলেস পরিকাঠামো ব্যবসা কিনে নিয়েছে জিও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একটি সংবাদমাধ্যমে অনিল অম্বানি বলেন, ''এক রবিবার বিষণ্ণ ছিলাম। আমার ৮৩ বছরের মা তখন পরামর্শ দেন, কোনও ঋণদাতার এক পয়সাও যেন লোকসান না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। তারপরই ব্যবসা গোটানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। মায়ের আর্শীবাদ সঙ্গে থাকলে আর কিছুর দরকার পড়ে না।''      
গত ২৮ ডিসেম্বর ধীরুভাই অম্বানির জন্মদিবসে বড় ভাই মুকেশ অম্বানির সঙ্গে চুক্তি করেন অনিল। রিলায়্যান্সের ৪টি ওয়ারলেস পরিকাঠামো ২৩ হাজার কোটি টাকায় কিনে নিচ্ছে জিও। তাছাড়া রিলায়্যান্সের অন্যান্য সম্পত্তিও বেচে দেনা মেটাবেন অনিল অম্বানি। তা সত্ত্বেও ৬ হাজার কোটি টাকা দেনা বাকি থেকে যেতে পারে। দিন কয়েক আগে ঋণদাতাদের সঙ্গে বৈঠকে অনিল আশ্বাস দিয়েছিলেন, আইনি জটিলতার কারণে নয়, বরং নৈতিকতার জন্যই পাই পয়সা মিটিয়ে দেবেন। 


আরও পড়ুন- চিন নয় উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনে মন মজেছে সিপিএমের


দুই ভাইয়ের ব্যবসা বাটোয়ারার সময় রিলায়্যান্স কমিউনিকেশনস এসেছিল অনিলের ভাগে। এরপর টুজি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে গিয়েছিল অনিল অম্বানির। তখন ব্যবসা সাময়িক ধাক্কা খেয়েছিল। তবে মুকেশ অম্বানির জিও আসার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি রিলায়্যান্স। বিশাল আর্থিক বোঝার সঙ্গে কমতে থাকে গ্রাহকদের সংখ্যাও। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ১২ কোটি গ্রাহক ছিল। জিও-র আগমনের পর তা দাঁড়ায় মাত্র ১ কোটি ৪০ লক্ষে। অনিলের কথায়, ''টুজি দুর্নীতির আগে আমরা এগিয়ে যাচ্ছিলাম। তবে প্রতিযোগিতার বাজারে একবার কেউ নীচে নামলে উপরে তোলা সম্ভব নয়।'' 


আরও পড়ুন- ইজরায়েলের কাছ থেকে যুদ্ধাস্ত্র কেনার চুক্তি বাতিল করল ভারত
 
উল্লেখ্য, ভারতের টেলিকম শিল্পে বিপ্লব এনেছিল রিলায়্যান্স। সস্তায় প্রত্যেক ভারতবাসীর হাতে মোবাইল ধরিয়েছিল তারা। তবে সময়ের সঙ্গে সেই রিলায়্যান্সও আজ ইতিহাসের পাতায়।