বেঙ্গালুরু: বালি মাফিয়াদের লাগাতার হুমকি, রাজনৈতিক চাপ উপেক্ষা করে দিনের পর দিন মাফিয়াদের বিরুদ্ধে লড়াইটা চালিয়ে গিয়েছিলেন কোলার জেলার আইএএস অফিসার ডিকে রবি। সেই ৩৫ বছরের রবির মৃতদেহই তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে গতকাল সন্ধেবেলা উদ্ধার হল। অভিযোগ, রবি নাকি আত্মহত্যা করেছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বর্তমানে কর্ণাটকের অ্যাডিশনাল কমিশনার অফ কমার্শিয়াল ট্যাক্সেস (এনফোর্সমেন্ট)-এর দায়িত্বে ছিলেন ডিকে রবি।


পুলিস কমিশনার এম এন রেড্ডি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ''প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যাই করেছেন রবি।''


২০০৯ ব্যাচের আইপিএস অফিসার রবির প্রথম পোস্টিংই ছিল কোলারে। সেখানে কমার্শিয়াল ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের অ্যাডিশনাল কমিশনারের পদে ছিলেন তিনি। পরে ডেপুটি কমিশনারের পদে পদোন্নতি হয় তাঁর।


রেড্ডি জানিয়েছেন ''যদিও গতকাল সন্ধেতে রবির পরিবার ওনার মৃত্যুসংবাদ আমাদের জানায়, কিন্তু বেলা ১১টার পর যে কোনও সময় তিনি সম্ভবত আত্মহত্যা করেছেন। ওই সময় থেকেই ওনার সঙ্গে আর ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি।''


রবির মৃত্যু রহস্য সমাধানে বেঙ্গালুরু পুলিস তিন সদস্যের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশান টিম (সিট) গঠন করেছে।


লাঞ্চ পর্যন্ত এওবি অফিসে পৌছাননি জানতে পেরে তাঁর স্ত্রী লাগাতার রবিকে ফোন করতে থাকেন। কিন্তু ফোনের উত্তর মেলেনি। দুপুর বেলা নাগাদ রবির অফিসের কয়েকজন আধিকারিক ওনার স্ত্রীর সঙ্গে রবির আবাসনে যান।


ভিতর থেকে কোনও সারা না পেয়ে ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে অ্যাপার্টমেন্টের দরজা খোলেন তাঁর স্ত্রী।  


ঘরের মধ্যে ফ্যানের সঙ্গে রবির ঝুলন্ত দেহ দেখে বাকরহিত হয়ে পড়েন প্রত্যেকেই।


রবির মৃতদেহের পাশে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।  


অ্যাপার্টমেন্টের সিসিটিভি ফুটেজ ও রবির মোবাইল রেকর্ড খতিয়ে দেখছে রবি।


কোলারের ডেপুটি কমিশনার থাকার সময় বালি মাফিয়াদের সঙ্গে তীব্র বিরোধ বাঁধে এই আইএএস অফিসারের। মাফিয়াদের অত্যাচারে অতিষ্ট সাধারণ মানুষের কাছে রীতিমত 'মাসিয়া' হয়ে ওঠেন তিনি। তাঁর বদলির প্রতিবাদে জেলায় স্বতঃস্ফূর্ত বনধ ঢাকেন এলাকাবাসী।


ডিকে রবির মৃত্যুর খবর পেয়ে কোলারে ফের বনধ ঢাকা হয়েছে।