করোনা থেকে দেশকে বাঁচাতে নির্মলার ১০ দাওয়াই, দেখে নিন এক নজরে
প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনায় আগামী ৩ মাস প্রায় ৮০ কোটি পরিবারকে অতিরিক্ত ডাল জাতীয় শস্য দেওয়া হবে।
ক্ষুদ্র শিল্পের কর্মীদের যাতে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয় সে বিষয়েও লক্ষ্য অর্থ মন্ত্রকের। যে সকল ক্ষুদ্র শিল্পে ১০০-এর ও কম কর্মী এবং তাঁদের মধ্যে যাঁরা মাসিক ১৫,০০০-এর কম বেতন পান, তাঁদের ক্ষেত্রে তাঁদের বেতনের ২৪ শতাংশ করে আগামী ৩ মাস জমা পড়বে তাঁদের পিএফ অ্যাকাউন্টে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয়, সেই জন্য বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, বিশেষভাবে সক্ষমদের দিব্যাং ভাতার উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় আগামী ৩ মাস উজ্বলা প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত দেশের ৮ কোটি দুঃস্থ পরিবারকে বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া হবে। প্রতি মাসে ১ টি করে মোট ৩টি সিলিন্ডার দেওয়া হবে। বরাদ্দ প্রায় ১৩,০০০ কোটি টাকা।
দীন দয়াল উপাধ্যায় জাতীয় গ্রামীণ মিশন প্রকল্পের আওয়তাভুক্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে বিনা বন্ধকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণের ঘোষণা।
এর আগেই প্রতিটি দুঃস্থ পরিবারকে ৫ কিলো করে গম বা চাল দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার সেই চাল/ গমের পরিমাণ আরও ৫ কিলো বাড়ানো হল। শুধু তাই নয়, এক কিলো করে ডালও দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি।
এদিন সীতারামন জানান, জন ধন প্রকল্পের যে সকল মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকে সংসার চালানোর জন্য আগামী তিন মাস ধরে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে পাবেন। অর্থাত্ টাকা পাবেন প্রায় ২০.৪০ কোটি মহিলা। বরাদ্দ মোট ৩১,০০০ কোটি টাকা।
মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্মসংস্থান যোজনার কর্মীদের দৈনিক মজুরি ১৮২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০২ টাকা করা হল।
কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের আওতায় কৃষকরা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ২০০০ টাকা করে পাবেন।
করোনার জেরে গোটা দেশ লকডাউন। বন্ধ উত্পাদন। লাটে উঠেছে ব্যবসা। এই পরিস্থিতিতে যাতে কোনও রকম খাদ্য সংকট বা অর্থাভাব দেখা না দেয়, বিশেষ করে দুঃস্থদের কথা মাথায় রেখে একাধিক পদক্ষেপ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করলেন। ঠিক কী কী রয়েছে এই প্রকল্পে? এক নজরে দেখে নেওয়া যাক-
করোনা মোকাবিলায় প্রথম সারিতে যুদ্ধ করছেন দেশের চিকিত্সক, নার্স ও হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে প্রত্যেকের মাথাপিছু ৫০ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমার ঘোষণা করলেন সীতারামন।