টলমল কুমারস্বামী সরকার! ১৩ বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার গড়তে পারে বিজেপি: সূত্র
লোকসভা ভোটের আগে কর্ণাটকের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। আর তার জেরে আসন টলমল কুমারস্বামীর। শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেস ও জেডিএসের বিধায়কদের ভাঙিয়ে সরকার গঠনের রাস্তা মসৃণ করে ফেলেছেন ইয়েদুরাপ্পা।
কর্ণাটকে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হলেও জেডিএসের কুমারস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছেড়ে গেরুয়া শিবিরকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে সফল হয়েছে কংগ্রেস। শপথ নেওয়ার পর মাত্র কয়েকদিন পরই ইস্তফা দিতে বাধ্য হন ইয়েদুরাপ্পা।
সেই দফায় দলের সমস্ত বিধায়কদের একটি গেস্টহাউসে রেখে গড় বাঁচিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু সরকার গঠনের পর কংগ্রেসের বিধায়কদের একাংশের সঙ্গেই যোগাযোগ শুরু করেন ইয়েদুরাপ্পা।
শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেসের ১০জন বিধায়ক ও জেডিএসের ৩ জন বিধায়কের সঙ্গে যোগযোগ রেখে চলছেন ইয়েদুরাপ্পা। তবে সেই জল্পনা উড়ো খবর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে আগুন ছাড়া তো ধোঁয়া ওঠে না! কর্ণাটকে বিজেপির সব বিধায়ককে ডেকে পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। দেড়টা নাগাদ বৈঠকও হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি ইয়েদুরাপ্পার সঙ্গে ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতারাও ছিলেন।
বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে? বিজেপির দাবি, লোকসভা ভোটের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু লোকসভা ভোটের রণকৌশল নিয়ে আলোচনার জন্য বিধায়কদের দিল্লিতে হঠাত্ উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল? বৈঠকের পর ১০২ জন বিধায়ককেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে একটি রিসর্টে।
সূত্রের খবর, কংগ্রেস ও জেডিএসের ১৩ জন বিধায়ককে নিয়ে সরকার গঠনের দাবি জানাতে পারেন ইয়েদুরাপ্পা।
তবে সরকার পড়বে না বলে দাবি করেছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। তাঁর কথায়, ''সংবাদমাধ্যমে খবর দেখে বিস্মিত হয়েছি। কার ফায়দা হবে জানি না, তবে কর্ণাটকবাসীর লোকসান হবে''।