বাথরুমে মেয়ের নিথর শরীর, চোখ বেরিয়ে এসছে, পরিবার বলছে ভূতের ভয়ে মৃত্যু! রহস্য লুকিয়ে অন্যত্র
বাথরুমের মধ্যে পড়ে রয়েছে ছোট্ট দশ বছরের একটা মেয়ে। নিথর দেহের চোখেমুখে তখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। সে নাকি কয়েকদিন ধরে ভূতের ভয় পাচ্ছিল! দাবি পরিবারের! আরও দাবি, ভূতের ভয়েই নাকি মৃত্যু! অবাক করা কাণ্ড নিউ আলিপুরের অভিজাত পরিবারে। আজকের যুগে দাঁড়িয়ে একটা বাচ্চা কেবল ভূতের ভয় পেয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল! পরিবার যা বলছে তা নিয়ে সন্দেহ ছিলই, কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই গোটা ঘটনা নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে দশ বছরের ওই শিশুটির গলায় আঙুলের ছাপ রয়েছে। তবে কি গলা টিপে খুন করা হয়েছে তাকে? এক্ষেত্রেও দ্বন্দ্ব রয়েছে। কারণ চিকিত্সকরা বলছেন, গলা টিপে খুন করতে গেলে আঙুলের ছাপ যতটা গভীর হয়, এক্ষেত্রে সেটা নেই। অত্যন্ত হালকাভাবে রয়েছে সেই দাগটা।
পরিবার বলছে, বেশ কিছুদিন ধরেই কোনওভাবে ভূতের আতঙ্ক দানা বেঁধে ছিল তার মনে। স্বপ্ন তো দেখতই, জেগে থাকলেও মাঝেমধ্যে ভয় পেতে যেত সে। বাথরুমে একা যেতেও ভয় পেত। সেই বাথরুম থেকেই রহস্যজনকভাবে তার দেহ উদ্ধার হয়।
আপাতত পরিবারের সদস্যদের নিউ আলিপুর থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই শিশুটির বাড়িতে এক যুবকও আসত, তাকেও থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যৌন নিগ্রহের কোনও ঘটনা রয়েছে কিনা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
নাকি বাচ্চাটিকে ভূতের মাস্ক পরে কেউ ভয় দেখাত দিনরাত, সেভাবেই খুন করা হয়েছে তাকে? একটা ছোট্ট বাচ্চার সঙ্গে এরকমটা করার পিছনে কী কারণ থাকতে পারে? সত্যিই ভাবাচ্ছে পুলিসকে।