এগারোজন কৃতি ভারতীয়, যাঁদের জীবনী এখনও রূপোলি পর্দায় বায়োপিক হওয়ার অপেক্ষায়
মিসাইল ম্যান অফ ইন্ডিয়া। অতি দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসে দেশের রাষ্ট্রপতি! নীতি, আদর্শ, মূল্যবোধকে মূল্য দেওয়া একজন মানুষ ছিলেন এপিজে আবদুল কালাম। তাঁর জীবনী রূপোলি পর্দায় ফুটিয়ে তোলার দাবি অনেকদিনের।
১৯৭৯-তে নোবেল জিতেছিলেন তিনি। ভারতে জন্মগ্রহণ না করলেও এদেশেই তাঁর জীবনের সবটা কেটেছে। এদেশের নাগরিকত্বও নিয়েছিলেন তিনি। পর্দায় মাদার টেরেসার জীবন কাহিনি ফুটিয়ে তোলার উদ্যোগ এখনও নেননি কোনও পরিচালক।
ভারতীয় সিনেমার মুখ পাল্টে দিয়েছিলেন যিনি। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম সেরা চিত্র পরিচালত সত্যজিত রায়কে পর্দায় দেখতে পেলে বাঙালি তথা ভারতীয়দের খারাপ লাগবে না হয়তো!
হরিয়ানার এক ছোট্ট গ্রাম থেকে সোজা আমেরিকার নাসা। এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করে তাঁর উত্থান হয়েছিল মহাকাশ পর্যন্ত। সুনীতি উইলিয়ামসের জীবনের পুরোটাই রোমাঞ্চে ভরা।
গায়ক, অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, লেখক। একসঙ্গে কত কিছুই না করেছেন কিশোর কুমার। তাঁর জীবনের গল্প শুনতে কার না ভাল লাগবে!
মনসুর আলি খান পতৌদি। ডাক নাম টাইগার পতৌদি। মাত্র ২১ বছর বয়সে ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন হয়েছিলেন তিনি। রাজপরিবার থেকে ভারতীয় ক্রিকেট। তাঁর যাত্রাপথটা কিন্তু বেশ রোমাঞ্চে ভরা।
ভারত রত্ন পুরস্কারজয়ী গায়িকা লতা মঙ্গেশকর। ১০০০ হিন্দি সিনেমায় গান গেয়েছেন তিনি। ভারতীয় সঙ্গীতজগতের এই উজ্জ্বল নক্ষত্রের বেড়ে ওঠা ও সঙ্গীত নিয়ে অধ্যাবসা সম্পর্কে জানার আগ্রহ অনেকেরই রয়েছে।
সম্পূরণ সিং কালরা তাঁর আসল নাম। তিনি পরিচিত অবশ্য গুলজার নামে। আকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত এই মানুষটি বহুমুখী প্রতিভার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ।
২০১৬-র আগস্ট ১৬ বছরের অনশন ভেঙেছেন তিনি। শর্মিলা চানুকে এশিয়ান মানবাধিকার কমিশনের তরফে জীবনকৃতি সম্মান দেওয়া হয়েছে। সুস্থ সমাজগঠনের জন্য তাঁর এই অদম্য লড়াই রূপোলি পর্দায় এলে দর্শকদের উদ্বুদ্ধ করতে পারে।
২০২০-তে কপিল দেবের বায়োপিক রূপোলি পর্দায় আসার কথা। রণবীর সিং অভিনয় করবেন নাম ভূমিকায়। সিনেমার নাম হওয়ার কথা ৮৩। ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের জীবনী উঠে এলে দর্শকদের দেখতে মন্দ লাগবে না হয়তো।
সুনীতা কৃষ্ণণ সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত দীর্ধদিন ধরে। নিজে একটা সময় গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। তার পর থেকে নারীপাচার, ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বারবার। সরকারি সাহায্য ছাড়া তিনি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালান, যেথানে পাচারকারীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া বা যৌনপল্লী থেকে উদ্ধার হওয়া মেয়েদের সমাজের মূলস্রোতে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১৬ তে পদ্মশ্রী সম্মান পান সুনীতা।