26/11: রক্তাক্ত মুম্বইয়ের ১৫ বছর, ফিরে দেখা ২৬/১১...

Soumitra Sen Sun, 26 Nov 2023-12:04 pm,

জি ২৪ ঘন্টা ডিজিয়াল ব্যুরো: ২০০৮ সালের ২৬/১১। ১৫ বছর বাদেও ভারত ভোলেনি এই রক্তাক্ত দিনের কথা, আর কোনওদিন ভুলবেও না। এই দিন এক লহমায় শেষ হয়ে গেছিল বহু প্রাণ, বহু স্বপ্ন। পাকিস্তানের মাটিতেই হয়েছিল ভয়াবহ ২৬/১১-এর পরিকল্পনা। নিজেই একথা স্বীকের করেছিলেন পাকিস্তানেরেই এক শীর্ষ নিরাপত্তা আধিকারিক।

নারকীয় এই ঘটনার ১৫ বছর বাদে ফিরে দেখা যাক ঠিক কী হয়েছিল সেই রাতে। কিছু ভারতীয় মৎসজীবীকে মেরে তাঁদের ট্রলারে করে ১০ জন জঙ্গি করাচি থেকে জলপথে মুম্বইতে ঢুকে পড়ে।

ভারতে ঢুকেই এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে তাঁরা। তারপরেই তাজে বিস্ফোরণ চালায় তাঁরা। মুম্বই-এর সবচেয়ে ব্যস্ততম রেল স্টেশন সিএসটিতে ঢুকেই এলোপাথারি গুলি চালাতে থাকে পাক জঙ্গীরা। রক্তে ভাসতে থাকে স্টেশন চত্বর।

সিএসটি স্টেশনে রেলওয়ে দফতরে জঙ্গিদের ঢোকার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় রেলের নিরাপত্তাকর্মীরা। তখনই ওই জঙ্গিরা হামলা চালাতে থাকে মুম্বইয়ের কামা হাসপাতালে। পরে হাসপাতাল তাক করে গ্রেনেডও ছুঁড়তে থাকে তাঁরা।

এছাড়াও পুলিশ জিপ লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় কাসাভরা। সেখানেই শহীদ হন পুলিশ অফিসার হেমন্ত করকারে, বিজয় সালাসকার, অশোক কামতে। রাত সাড়ে নটা নাগাদ মুম্বই-এর বিখ্যাত লিওপোল্ড ক্যাফেতে ঢুকে সেখানকার মানুষদের ওপর গুলি চালায় জঙ্গীরা।

এরপরই ঘটে আসল ঘটনা। মুম্বই শহরের অন্যতম সেরা হোটেল তাজ প্যালেস হোটেলে ঢুকে পড়ে তাঁরা এলোপাথারি হুলি, গ্রেনেড হামলা, বিস্ফেরণে সেখানে উপস্থিত বহু মানুষ মারা যায়। কোলাবার নারিমন পয়েন্টে ইহুদিদের বাসভূমিও জঙ্গিহামলার হাত থেকে বাদ যায়নি সেই রাতে।

গোট ঘটনার তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা প্রমাণ পান, যে এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবা। এদিকে, পরবর্তীতে মুম্বই হামলায় ৯ জন জঙ্গিকে খতম করলেও, প্রাণে বেঁচে যায় এক পাক জঙ্গি আজমল কাসাভ। তার স্বীকারোক্ত থেকে জানা যায় সে পাকিস্তানের বাসিন্দা। ফলে গোটা ঘটনার নেপথ্যে পাকিস্তানের হাত থাকার প্রমাণ আরও প্রকোট হয়।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link