এক্সক্লুসিভ: মায়ানমার সেনার উপরে হামলা চালাতে পারে ৩০০ রোহিঙ্গা জঙ্গি
রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিয়ে মায়ানমারের উপরে চাপ বাড়াচ্ছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। এর মধ্যেই গোয়েন্দা রিপোর্টে বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
মায়ানমার সেনার উপরে রোহিঙ্গা জঙ্গিরা বড়সড় হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা গোয়েন্দাদের।
মায়ানমার সেনার উপরে হামলার ছক কষছে জঙ্গি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি। বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা টুম্ব্রুর কাছে একত্রে রয়েছে ৩০০ রোহিঙ্গা জঙ্গি।
জি নিউজকে একটি গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলির কাছ থেকে সুইসাইড জ্যাকেট ও বিস্ফোরক জোগাড় করেছে আরসা। এই ষড়যন্ত্রের পিছনে রয়েছে আরসা কমান্ডার মাস্টার নুরুমিয়া।
বাংলাদেশে আশ্রয়রত রোহিঙ্গাদের নিয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করে ২৫ অগস্ট বিবৃতি জারি করে আরসা। ওই বিবৃতিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছে তারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি সূত্র থেকে জানা দিয়েছে, বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবির থেকে আরসা নিয়োগ করছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রও।
চলতি বছরের মে মাসে অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাখাইনপ্রদেশে ৯৯ জন হিন্দুকে হত্যা করেছে আরসা।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৯৯ জন হিন্দু মহিলা, পুরুষ ও শিশুদের খুন করেছে রোহিঙ্গা জঙ্গিরা। ২০১৭ সালে হিন্দু গ্রামে ঢুকে পড়ে অপহরণ ও হত্যা করে তারা। পরে ফটোগ্রাফিক প্রমাণও মিলেছে। বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে হিন্দুদের জবানবন্দি থেকে হত্যাকাণ্ডের কথা স্পষ্ট হয়েছে। হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মের মানুষদের মধ্যে ভয় ধরাতে চেয়েছিল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।
চলতি বছরের শুরুতেই জানা গিয়েছিল, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ও পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলি। এমনকি রোহিঙ্গাদের প্রশিক্ষণও দিয়েছে লস্কর-ই-তৈবা। ভারতের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের পাকিস্তান ব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন গোয়েন্দারা।