৪ ধর্ষককে নিয়ে আসা হয়েছে তিহাড়ের ৩ নম্বর ব্লকে, সেখানেই রয়েছে ফাঁসিকাঠ
২২ জানুয়ারি ফাঁসি না হলেও প্রস্তুতিতে খামতি রাখছে না তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ। গতকালই নির্ভয়া মামলায় দোষী চারজনকে জেলের তিন নম্বর ব্লকে নিয়ে আসা হয়। তবে প্রত্যেককেই আলাদা আলাদা সেলে রাখা হয়েছে।
এতদিন অক্ষয় ও মুকেশের ঠিকানা ছিল জেলের দু নম্বর ব্লক। বিনয় ছিল ব্লক নম্বর চারে। মান্ডোলা জেল থেকে তিহাড়ের দু নম্বর ব্লকে আনা হয়েছিল পবনকে। এবার চারজনকেই একই ব্লকে নিয়ে আসা হল।
এই ব্লকেই রয়েছে ফাঁসিকাঠ। যদিও মুকেশ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানানোয় বাইশে জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হচ্ছে না। নিয়ম বলছে, রাষ্ট্রপতি মুকেশের আর্জি খারিজ করলেও ১৪ দিনের আগে ফাঁসি আর সম্ভব নয়।
আজ নির্ভয়া কাণ্ডে দণ্ডিত মুকেশ সিংয়ের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁর কাছে মুকেশের প্রাণভিক্ষার আবেদন পাঠিয়ে দেওয়া হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে।
সুপ্রিম কোর্টে রায় সংশোধনীর আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ার পর গত মঙ্গলবার প্রাণভিক্ষার আবেদন ফাইল করেন মুকেশ।
দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট ৪ ধর্ষকের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছিল। ওই মৃত্যু পরোয়ানায় তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয় আগামী ২২ জানুয়ারি সকাল ৭টায় তাদের ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।
কিন্তু আইনি প্রক্রিয়া জটিলতায় ওই ধার্য দিনে ফাঁসি দেওয়া সম্ভব নয় বলে জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়।