রাহুলের সামনে `হর হর মহাদেব` স্লোগান দেওয়ায় সাসপেন্ড ৫ কংগ্রেস কর্মী
রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছ্ত্তীসগঢ়ের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে জেতাতে মরিয়া রাহুল গান্ধী। গুজরাট নির্বাচন থেকে যে 'নরম হিন্দুত্বে'র কৌশল নিয়েছেন, সেই পথেই হাঁটছেন কংগ্রেস সভাপতি।
সদ্য ঘুরে এসেছেন কৈলাস মানসরোবর। সেখানে থেকে ছবি টুইট করে মন্তব্য করেছেন, শিবই ব্রহ্মাণ্ড। সেই রাহুল গান্ধীর সামনেই 'হর হর মহাদেব' বলায় সাসপেন্ড করা হল কংগ্রেস কর্মীদের।
গুজরাটে নির্বাচনী প্রচারে নিজেকে শিবভক্ত বলে দাবি করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সোমনাথ মন্দিরে তাঁর ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে বিতর্ক দেখা দেওয়ার পর রাহুলকে পৈতেধারী হিন্দু বলে দাবি করেছিল কংগ্রেস।
কর্ণাটকে বিধানসভা ভোট মেটার পর কৈলাস মানসরোবর যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন রাহুল গান্ধী। সেখানে দেবদর্শনে যানও। টুইটারে ছবিও পোস্ট করেছেন।
কৈলাস থেকে ফিরে আসার পর নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র অমেঠিতে শিবভক্তদের সভায় হাজির হন রাহুল। পরে মধ্যপ্রদেশের চিত্রকূটের মন্দিরে পুজোও দেন রাহুল গান্ধী। সভায় ওঠে, 'হর হর ব্যোম' ব্যোম জয়ধ্বনি।
দিন কয়েক আগে রাহুল গান্ধীর এলাহাবাদ সফরেও উঠেছে 'হর হর মহাদেব' ও 'ব্যোম ব্যোম ভোলে' জয়ধ্বনি। তবে তা শুনে খুশি হননি কংগ্রেস নেতৃত্ব। পাঁচ কর্মীকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
পাঁচ সাসপেন্ড কর্মীর মধ্যে ছিলেন হাসিব আহমেদ। তাঁর কথায়, ''রাহুলজি আসার পর বম বম ভোলে ও হর হর মহাদেব জয়ধ্বনিতে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিলাম। পরে জানতে পারি, জেলার কংগ্রেস নেতা অনিল দ্বিবেদীর এটা পছন্ হয়নি। তিনি সাসপেন্ড করেন আমাদের। মনে হচ্ছে, দ্বিবেদী নেতার সঙ্গে আইসিস বা মাওবাদীদের যোগ রয়েছে''।
জানা গিয়েছে, দলীয় অনুশাসন ভাঙার কারণে পাঁচ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের সদস্যপদ খারিজ করার জন্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজবব্বরের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে এলাহাবাদের কংগ্রেস নেতৃত্ব।