আপনার ভয়, আতঙ্ক কোনও মানসিক ব্যাধির জন্য নয় তো!
ফোবিয়া একধরণের মানসিক ব্যাধি (মেন্টাল ডিসঅর্ডার)। এমন বেশ কিছু ফোবিয়া আছে যা অজান্তেই আমাদের মনে বাসা বাঁধে, বাড়তে থাকে ধীরে ধীরে। আজ তেমনই কিছু অদ্ভুত ফোবিয়ার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
নেফোফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি মেঘের ভয়ে সারাক্ষণ আতঙ্কিত থাকেন। এমনকি তাঁরা আকাশের দিকে তাকাতেও ভয় পান। এই ফোবিয়ার মতোই আরেকটি ফোবিয়া আছে যার নাম অ্যানাবলফোবিয়া। অ্যানাবলফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি উপরের দিকে তাকাতেও ভয় পান। আকাশ, বাড়ির ছাদ, উঁচু গাছ, এমনকি উঁচু বহুতলের দিকে তাকাতেও ভয় পান তাঁরা।
স্পেকট্রোফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি আয়নায় নিজের প্রতিবিম্বকেও ভীষণ ভয় পান। এই ফোবিয়ার আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের ব্যক্তিসত্ত্বা নিয়ে আতঙ্কে থাকেন বা নিজের ত্বকের সামান্য দাগও সহ্য করতে পারেন না। অতীতের কোনও ভয়ঙ্কর ঘটনা থেকেও অনেকের আয়না-ভীতি তৈরী হতে পারে।
শুনতে অদ্ভুত লাগলেও পৃথিবীতে কিছু মানুষ ফুলের ভয়ে সারাক্ষণ আতঙ্কিত থাকেন। এই ধরনের মানুষ ফুল দেখলে বা ফুলের কাছাকাছি থাকলে এক ধরণের মানসিক চাপ অনুভব করেন। অনেকে আবার পুরো ফুলটাকে ভয় না পেয়ে ফুলের বিশেষ কোন অংশ যেমন পাপড়ি বা রেণু ভয় পান।
পৃথিবীর এমন কিছু মানুষ আছেন যাঁদের আনন্দেও ভীতি কাজ করে। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এটাই সত্যি। এ ফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি উপভোগ্য মূহূর্তগুলোকে ভয় পান। তাঁরা আনন্দ পেতে ও প্রকাশ করতে ভয় পান। এ ধরণের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা সমাজের সবার থেকে আলাদা থাকতে পছন্দ করেন। তাই তাঁদের স্বাভাবিক সামাজিক জীবন-যাত্রা ব্যাহত হয়।
১৯৯৩ সালে বৃটেনের একটি গবেষণায় দেখা যায়, যে সে দেশের প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষের মধ্যে টেলিফোন-ভীতি (টেলিফোবিয়া) আছে। এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা ফোন রিসিভ করতে বা ফোনে কথা বলতে ভয় পান ও এক ধরনের তীব্র মানসিক চাপ অনুভব করেন। তাঁরা ফোনে কি বলবেন তা বুঝে পান না এবং এক ধরনের অস্বস্তিতে ভোগেন। তাঁরা সব সময়েই ফোন এড়িয়ে চলতে পছন্দ করেন।