মহাভারতের এই পাঁচটি শিক্ষা জানলে কখনও অবসাদগ্রস্ত বা বিফল হবেন না
মহাভারত শুধুই মহাকাব্য নয়, বরং জীবনের চলার পথে শিক্ষার পাঠ। বেদব্যাস রচিত মহাভারতে রয়েছে ১,০০,০০০ লক্ষেরও বেশি শ্লোক। শুধুই যুদ্ধের বর্ণনা নেই, বরং প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে, তাও বলা হয়েছে মহাভারতে। মহাভারতের উপদেশ মেনে চললে কখনও জীবনে অবসাদে ভুগবেন না।
সংঘর্ষ
মহাভারতের সবচেয়ে বড় উপদেশ, জীবনে নিরন্তর সংঘর্ষ চালিয়ে যেতে হবে। পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক না কেন, হার মানলে চলবে না। সংঘর্ষই আমাদের সাফল্যের দোরগোড়ায় পৌঁছতে পারে।
সংযম
মহাভারতের একাধিক চরিত্র অন্যের কথায় এসে ক্রোধের বশে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরে তার খেসারত দিতে হয়েছে। এতে থেকে শিক্ষা পাই, যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভাবনাচিন্তা করা জরুরি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পরিণামের কথা ভাবা উচিত। মনকে শান্ত করে সংযম রেখে পরিকল্পনা করতে হবে।
আত্মবিশ্বাস
নিজের উপরে ভরসা রাখার শিক্ষা দেয় মহাভারত। নিজের ক্ষমতার উপরে আস্থা থাকলে যে কোনও পরিস্থিতিতেই মেলে সাফল্য। অন্ধ হয়েও রাজত্ব সামলেছিলেন ধৃতরাষ্ট্র।
নির্ভয়
মানুষের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছনোর পথে সবচেয়ে বড় বাধা 'ভয়'। ভয়ই প্রতিপদে বাধাসৃষ্টি করে। নিজের মন থেকে ভয় দূর না করলে কোনওদিন সফল হওয়া সম্ভব নয়। মহাভারতের একাধিক চরিত্রের উপরে প্রভাব ফেলেছে ভয়। নিজেদের পরিজনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ভয় পেয়েছিলেন শ্রেষ্ঠ ধর্নুধর অর্জুন। মনের মধ্যে ভয় থাকলে আপনি কার্যসিদ্ধি করতে পারবেন না। মন থেকে দূর করতে হবে ভয়।
অর্ধশিক্ষা ভয়ঙ্কর
অর্ধেক জ্ঞান বিপদে ফেলতে পারে মানুষকে। এমনকি অভিমন্যূর বীরত্বও কাজে লাগেনি। অর্ধেক জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও ঢুকে পড়েছিলেন চক্রব্যূহে। আর জীবিত ফেরেননি। অর্ধেক জ্ঞান সবসময় ডেকে আনে বিপদ। পরাক্রমীরাও তা থেকে বাঁচতে পারেন না। ছাত্রছাত্রীদের সবসময় মাথায় রাখতে হবে, অর্ধেক জ্ঞান কোনও কাজে লাগে না। তাই যে কোনও বিষয়ে সঠিকভাবে ও বিস্তারে জ্ঞানঅর্জন দরকার। ভবিষ্যতে সেটাই এনে দেবে সাফল্য।