দুর্নীতি বেড়েছে দেশে, গতবছরের চেয়ে ১১ শতাংশ বেশি ঘুষ: সমীক্ষা ছ
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের মতো কড়া সিদ্ধান্তও নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু দুর্নীতিকে বাগে আনা যাচ্ছে না। অন্তত তথ্য সে কথাই বলছে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের মতো কড়া সিদ্ধান্তও নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু দুর্নীতিকে বাগে আনা যাচ্ছে না। অন্তত তথ্য সে কথাই বলছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ার সমীক্ষা বলছে, গত একবছরে দেশের ৫৬ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষভাবে ঘুষ দিয়েছেন। ১.৬০ লক্ষ লোকের মতামত নিয়ে করা হয়েছে এই সমীক্ষা।
দুর্নীতিতম দেশের তালিকায় ৭৯ নম্বর থেকে ৮১তম স্থানে নেমে গিয়েছে ভারত।
গতবছর সমীক্ষা অনুযায়ী, ৪৫ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষভাবে ঘুষ দিয়েছিলেন। এবছর তা বেড়ে পৌঁছে গেল ৫৬ শতাংশে।
সমীক্ষায় ৫৮ শতাংশ মানুষ দাবি করেছেন, তাঁদের রাজ্যে দুর্নীতিবিরোধী হেল্পলাইন নেই। এই ধরনের কোনও হেল্পলাইনের কথা জানেনই না ৩৩ শতাংশ মতদাতা।
ঘুষ দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লেনদেন হয়েছে নগদে। ৩৯ শতাংশই নগদে মেটানো হয়েছে। ২৫ শতাংশ এজেন্টের মাধ্যমে দিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
সবচেয়ে বেশি ঘুষ নিয়েছেন পুলিস কর্মীরা। ২৫ শতাংশ ঘুষই উর্দিধারীদের দিতে হয়েছে। তারপর পুরসভা কর্মী, সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন অফিস ও অন্যান্য সরকারি কাজে ঘুষ দিয়েছেন আম আদমি।
২০১৭ সালে ৩০ শতাংশ ঘুষ নিয়েছিলেন পুলিস কর্মীরাই। ২৭ শতাংশ পুরসভা ও সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন দফতর।
৩৬ শতাংশ মানুষের দাবি, কাজ হাসিলের জন্য ঘুষই একমাত্র পথ।
গতবছর ৪৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছিলেন তাঁরা ঘুষ দেননি। এবার সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯।