Microwave oven: এই ছ’টি খাবার গরম করে খেলেই কমবে আয়ু!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এই জেট দুনিয়ায় গরম গরম রান্না করে সঙ্গে সঙ্গেই হাপুশ হুপুশ করে খাওয়ার দিন আর নেই। নাইন টু ফাইভের যুগে রোজ রোজ রান্না করাও সম্ভব নয়। প্রত্যেক বাড়ির এই একই কাহিনী। সমাধানও তাই একই। একদিন বেশি করে কোনরকমে দু’টো কি তিনটে পদ রান্না করে ফ্রিজে তুলে রাখা। ব্যাস। পরবর্তী দু’দিন শুধু একটাই কাজ। সেই রান্না ফ্রিজ থেকে বার করা, মাইক্রোওভেনে দশ মিনিটে গরম করে নেওয়া, আর খাওয়া। কিন্তু আপনি কি জানেন, এতে যেমন খাবারের পুষ্টিগুণও নষ্ট হচ্ছে, তেমনই আপনার শরীরে নানা রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে। জেনে নিন, কোন কোন খাবার কখনওই দ্বিতীয়বার গরম করে খাওয়া উচিত না –
মাছে ভাতে বাঙালির অধিকাংশের পেটে দু’বেলা ভাত না পড়লে রাতে যেন ভালো করে ঘুম আসে না। কিন্তু জানেন কি, এই ভাত দ্বিতীয়বার গরম করে খেলে ডায়রিয়ার মতো ভয়ংকর রোগও হতে পারে। বেড়ে যেতে পারে বমি বমি ভাব। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাত যত ঠান্ডা হয় তাতে নানা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। সেই ঠান্ডা ভাত যখন আবার গরম করা হয় তখন ওই ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব আরও বেড়ে যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে আলুর বার বার গরম করে খেলে পেটের সমস্যার প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই আলুর তরকারি বা আলু দিয়ে তৈরি কোন খাবারই বার বার গরম করে খাওয়া উচিত না।
ডিমে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন থাকে। সে কারণেই ডিম বার বার গরম করে খাওয়া হলে তার প্রোটিন নষ্ট হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, ডিমে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াও জন্মায়। এতেও পেটের নানা সমস্যা দেখা দেয়।
মুরগির মাংসতেও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। ফলে রান্নার পরে মাংস আবার গরম করলে প্রোটিনের বন্ডিংগুলির পরিবর্তন ঘটে। এর ফলে বদ হজমের সম্ভবনা ভীষনভাবে বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পালং শাক একাধিকবার গরম করে খেলে শরীরে কার্সিনোজেনিক প্রোডাক্ট বা ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদানের পরিমাণ বেড়ে যায়। কারণ, পালং শাকে নাইট্রেট থাকে। রান্না করার পর গরম করলে তা নাইট্রাইটে পরিণত হয় যা শরীরের জন্য একদমই ভালো নয়।
অ্যাভোগাডোর তেল, হেজল নাটের তেল, আখরোটের তেল ইত্যাদি দিয়ে রান্না করলে খেতে যেমন সুস্বাদু হয় তেমনই এর সমস্যাও আছে। এই তেল দিয়ে বানানো খাবার দ্বিতীয়বার গরম করলেই বোঝা যাবে ঠেলা। একটা বিকট গন্ধতো বেরবেই, পেটটাও যাবে।