৬ জুন একত্রে বেঁধে দিল কবি, ঔপন্যাসিক এবং গোয়েন্দাকাহিনিকারের কলমকে

Soumitra Sen Sun, 06 Jun 2021-6:29 pm,

তিনি আধুনিক রাশিয়ান সাহিত্য়ের প্রাণপুরুষ। তিনি রাশিয়ান সঙ্গীতেরও অন্যতম প্রধান অবলম্বন। তিনি রাশিয়ান রোম্যান্টিক কাব্যের জনক।  তিনি  ডুয়েলও লড়েছিলেন। তিনি Alexander Pushkin। আজ তাঁর জন্মদিন। 

 

পুশকিন অবশ্য শুধু কবিই নন। তিনি একজন বিশিষ্ট নাট্যকার। তাঁর সব চেয়ে বিখ্যাত নাটক 'বোরিস গোদুনোভ'। বিশ্ব সাহিত্যে এক বিরল সৃষ্টি তাঁর কাব্যিক উপন্যাস 'ইউজিন ওনেজিন'। পুশকিনের সাহিত্য রাশিয়ান সুরকারদের জন্য নতুন ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছিল। চাইকোভস্কির অপেরা 'ইউজিন ওনেজিন' (১৮৭৯) এবং'দ্য কুইন অফ স্পেডস' এক অনন্য সাঙ্গীতিক সৃষ্টি। 

১৮৩৬ সাল পুশকিনের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়েই তিনি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এ ছাড়াও তাঁর স্ত্রী অন্যের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত, এমন গুজবের সম্মুখীন হন। ৪ নভেম্বর তিনি জর্জ দান্তেসকে দ্বন্দ্বযুদ্ধে আহ্বান করেন। ৭ জানুয়ারি ব্ল্যাক নদীতে দান্তেসের সঙ্গে পুশকিনের  দ্বন্দ্বযুদ্ধ হয়। দান্তেস প্রথমে গুলি চালিয়ে পুশকিনকে আহত করেন; গুলি তাঁর কোমরে প্রবেশ করে এবং পেটে আঘাত হানে। ক'দিন পরে ২৯ জানুয়ারি পুশকিন মারা যান।

পল টমাস মান (Paul Thomas Mann)। জার্মান লেখক। জুন ৬, ১৮৭৫ জন্ম। ঔপন্যাসিক, ছোট গল্প লেখক, প্রাবন্ধিক, সমাজচিন্তক ও ফ্রিলানথ্রপিস্ট। ১৯২৯ সালে মূলত তার প্রথম উপন্যাস 'বুদেনব্রুকসে'র জন্যই তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। 

 

কিন্তু সারা পৃথিবী তাঁকে মনে রেখেছে THE MAGIC MOUINTAIN উপন্যাসটির জন্য। জীবনানন্দের অত্যন্ত প্রিয় লেখক ছিলেন মান। নিজের উপন্যাসের মানের প্রসঙ্গও এনেছিলেন জীবনানন্দ। এমন বিরল প্রতিভাধর এক লেখক ১৯৫৫ সালের ১২ অগস্ট মারা যান।

তাঁর লেখা কাহিনির চলচ্চিত্ররূপে অভিনয় করেছিলেন স্বয়ং সুচিত্রা সেন। এদিকে উত্তমকুমার তাঁর লেখা পড়ে মুগ্ধ হয়ে তাঁর বাড়িতে গিয়ে সেই কাহিনির চলচ্চিত্রায়ণ ও পাশাপাশি নিজের অভিনয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করেও ব্যর্থমনোরথ হয়ে ফিরে আসেন।  এই মানুষটিই আবার আগাথা ক্রিস্টির সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। 

 

কে বলুন তো এই বর্ণময় মানুষটি? তাঁর নাম Nihar Ranjan Gupta। নীহাররঞ্জন গুপ্তের ছদ্মনামটিও দারুণ-- বাণভট্ট। ১৯১১ সালের ৬ জুন জন্ম। তিনিই বাংলা গোয়েন্দাকাহিনির প্রাণপুরুষ। তাঁর অমর সৃ্ষ্টি কিরীটি রায়। তাঁর বেশ কয়েকটি কাহিনি সিনেমাও হয়। তেমনই একটি হল 'উত্তরফাল্গুনী', যাতে অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা সেন। 

বাংলায় তিনি সার্থক গোয়েন্দা গল্প রচনা করতে চেয়েছিলেন। তিনি এমনকি আগাথা ক্রিস্টির সঙ্গেও দেখা করেন। দেশে ফিরে তিনি তার প্রথম গোয়েন্দা উপন্যাস 'কালোভ্রমর' রচনা করেন। এতেই তিনি গোয়েন্দা চরিত্র হিসেবে 'কিরীটী রায়'কে সংযোজন করেন যা বাংলা গোয়েন্দা সাহিত্যের এক অনবদ্য সৃষ্টি হিসেবে মান্যতা পায়।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link