ঘরে ফেরার পালা! ডানকুনি স্টেশনে বিশেষ ট্রেনে নিজ রাজ্যে ফিরলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা

Tue, 05 May 2020-3:29 pm,

অয়ন ঘোষাল: ঘড়ির কাঁটায় সকাল ১০টা । ডানকুনি স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে থামল ২৪ কামরার প্যাসেঞ্জার ট্রেন। ভিতরে বসে থাকা ক্লান্ত, বিদ্ধস্ত মানুষগুলোকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, তাঁদের ওপর দিয়ে ঠিক কতটা ঝড় বয়ে গেছে। বিনিদ্র রজনী, আধপেটা খাওয়া মানুষগুলোর ক্লান্ত মুখেও যেন যুদ্ধ জয়ের হাসি। বহু বাধা বিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে ঘরে ফেরা।

তার আগে অবশ্য হয়ে গিয়েছে ফর্ম ফিল আপ। কোন জেলা? কোন এলাকা? লিখতে হচ্ছে। তারপর সেই জেলার জন্য নির্দিষ্টকরণ করা বাসে ( মোট ৬০ টি সরকারি বাস) উঠে পড়েন তাঁরা । কোনওটির গন্তব্য মালদা, কোনওটি দক্ষিন দিনাজপুর, আবার কোনওটি মুর্শিদাবাদ।  যাত্রী মোট ১৩৬১ জন ( পরিযায়ী শ্রমিক ও আজমেঢ় শরিফের তীর্থযাত্রী মিলিয়ে)

স্টেশনে ট্রেন ঢোকা মাত্র পুষ্পবৃষ্টি । তারপর ট্রেনের মধ্যেই পৌঁছে গেল খাবার ও পানীয় জল। কারণ রাজ্যে ফিরলেও, ঘরে ফিরতে এখনও বেশ দেরি। প্রথমে পরপর কোচ নম্বর ধরে ধরে ট্রেন থেকে নামা, তারপর লাইন করে ওঠা ফুট ব্রিজে। সেখান থেকে নেমে থার্মাল স্ক্যানিং. তারপর লালারস পরীক্ষা, সব পরীক্ষায় পাশ করলে কুপন।

তার আগে অবশ্য হয়ে গিয়েছে ফর্ম ফিল আপ। কোন জেলা? কোন এলাকা? লিখতে হচ্ছে। তারপর সেই জেলার জন্য নির্দিষ্টকরণ করা বাসে ( মোট ৬০ টি সরকারি বাস) উঠে পড়েন তাঁরা । কোনওটির গন্তব্য মালদা, কোনওটি দক্ষিন দিনাজপুর, আবার কোনওটি মুর্শিদাবাদ।  যাত্রী মোট ১৩৬১ জন ( পরিযায়ী শ্রমিক ও আজমেঢ় শরিফের তীর্থযাত্রী মিলিয়ে)

 ঘরে ফেরার গোটা প্রক্রিয়ার দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী মলয় ঘটক ও তপন দাসগুপ্ত। ছিল RPF ও  GRPর পদস্থ আধিকারিকরা, ছিলেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার ।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link