The Danger of Sucker fish: একটা মাছ ধ্বংস করে দিচ্ছে গোটা দেশকে! নজরে পড়লেই খবর দিন...

Fri, 13 Sep 2024-6:59 pm,

পরিবেশ দূষণের কারণে দেশীয় মাছের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। শিল্প-কারখানার তরল বর্জ্য এবং রাসায়নিক দূষণের কারণে নদের প্রাকৃতিক বাস্তুসংস্থান সমস্যার মুখে পড়েছে। নদীর জলে ভারী ধাতু ও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ মিশে যাওয়ায় মাছেদের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে। নদীতে দেশীয় মাছের সংখ্যা অনেক আগেই কমে গেছে, যা দূষণ ও বর্জ্যের কারণে হয়েছে। বর্ষার মৌসুমে সামান্য পরিমাণ দেশি মাছ দেখা গেলেও এখন নতুন বিপদ হলো সাকার ফিস। এই অভিশপ্ত মাছের বিস্তার জেলেদের জন্য বড় একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাল ফেললেই এই মাছ ধরা পড়ে, যা তাদের জীবিকায় প্রভাব ফেলছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এই রোহিঙ্গা মাছ দেশি মাছেদের বাসস্থান ধ্বংস করছে।

 

সম্প্রতি গাজীপুরের তুরাগ নদে মৎস্য কর্মকর্তাদের মতে, বুড়িগঙ্গা নদীর সঙ্গে তুরাগ নদের সংযোগ থাকার কারণে সাকার ফিস বুড়িগঙ্গা থেকে তুরাগে আসছে। এই মাছ সাধারণ মাছের খাবার খেয়ে দেশি মাছের খাদ্যসংকট সৃষ্টি করছে। গ্রামের শতাধিক পরিবার মাছ ধরে জীবিকা চালায়, এখন হাতে গোনা কয়েকজন মাছ ধরে, তা-ও সেরকম মাছ নেই। 

স্থানীয় জেলেরা উদ্বেগের সাথে সাকার ফিসকে অভিশাপ হিসেবে দেখছেন। তারা বলেছেন, এই মাছ দেশি মাছের জীবনযাত্রা নষ্ট করে দিচ্ছে। তারা এই অভিশপ্ত মাছ ধ্বংস করার উপায় বের করার উপর জোর দিচ্ছেন।সাকার ফিসের বৈজ্ঞানিক নাম হিপোসটোমাস প্লেকাসটোমাস। এর পিঠে ধারালো পাখনা রয়েছে এবং এরা অন্যান্য মাছের খাবার খেয়ে তাদের বাসস্থানকে ধ্বংস করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মাছ দেশি মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীকে খেয়ে শেষ করে ফেলছে।

 

পরিবেশ দূষণের কারণে দেশীয় মাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় তরল বর্জ্য এবং রাসায়নিক দূষণের কারণে এই নদ-কে ঘিরে ব্যবসায়ীরা হুমকির মুখে পড়েছে। গাজীপুর সহ সমগ্র দেশে পরিবেশের এই দূষণ বন্ধ করতে এব নদের বাস্তুসংস্থান পুনরুদ্ধারের জন্য জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। শিল্প-কারখানার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতি এবং নদীর জলদূষণ রোধ করতে সরকারি নীতিমালা প্রণয়ন ও কঠোরভাবে প্রয়োগ করা অপরিহার্য।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link