কাকের হামলায় অতিষ্ট ইনি! শত্রুতা নাকি তিন বছরের পুরনো
তাঁর সঙ্গে কাকের শত্রুতা তিন বছরের পুরনো। এখন তো পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছে ব্যাপারটা মজার বিষয় হয়ে উঠেছে। পাড়ার ছেলেপুলে তাঁর বাড়ির গেটের বাইে দাঁড়িয়ে থাকে। কখন তিনি বাড়ি থেকে বেরোবেন, আর কাকেদের দল ঝাঁপিয়ে পড়বে তার উপর। এর পর শুরু হবে কাক-মানুষের যুদ্ধ!
কথিত আছে, সাপ নাকি প্রতিশোধ নিতে জানে। কেউ কখনও কোনও সাপকে মারলে তাঁর সঙ্গী নাকি সেই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে শাস্তি দেয়। যদিও এই প্রচলিত কথার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। কিন্তু তাই বলে কাক! শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনাটা সত্যি। মধ্যপ্রদেশের সুমেলা গ্রামের শিবা কেওয়াতকে প্রতিদিন নিয়ম করে আক্রমণ করে কাকেদের দল।
কখনও তাঁকে ঠুকরে দিচ্ছে কাক। কখনও আচঁড়ে দিয়ে তাঁকে রক্তাক্ত করছে তারা। শিবা এখন আর লাঠি ছাড়া বাড়ি থেক বেরোতেই পারেন না। শিবার এমন অবস্থা এখন গ্রামবাসীদের কাছে বিনোদনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কাক কি এমন করতে পারে! পক্ষী বিশারদরা বলছেন, কাক অন্য পাখিদের থেকে বুদ্ধিমান। ফলে তাঁর পক্ষে কোনও মানুষের মুখ মনে রেখে এমন কাণ্ড ঘটানো সম্ভব। কাকের হামলায় শিবার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত হয়েছে। তিন বছর ধরে এমন ঘটনা ঘটে চলেছে তাঁর সঙ্গে। শুরুর দিকে তিনি পাত্তা দেননি। কিন্তু পরে ব্যাপারটা বুঝতে পারেন।
বছর তিনেক আগে একটি কাকের ছানা তারের জালে আটকে পড়েছিল। শিবা সেই ছানাটিকে উদ্ধার করতে যান। কিন্তু কাকের ছানাটি শিবার হাতে থাকাকালীনই মারা যায়। শিবা সেদিন কাকের ছানাটিকে সাহায্য করতেই গিয়েছিলেন। কিন্তু কাকেদের দল ভেবেছে শিবার হাতেই মৃত্যু হয়েছিল ছানাটির। তার পর থেকেই শিবার উপর এমন হামলা চালায় তারা।