সব্যসাচীকে ফোন রাজ্যের প্রভাবশালী মন্ত্রীর; উপযুক্ত জবাব, বললেন মুকুল
অঞ্জন রায়: শুক্রবার সন্ধেয় সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে মুকুল রায়ের আগমনের পর তুঙ্গে জল্পনা। তবে কি বিজেপিতে যোগদান করছে চলেছেন বিধাননগরের মেয়র? আর এমন জল্পনার মাঝেই তাঁকে ফোন করেন রাজ্যের এক প্রভাবশালী মন্ত্রী। দলের বিধায়কের কাছে বিষয়টি জানতে চান।
সব্যসাচী দত্তের সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়ে মুকুল রায় বলেন,''দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক। রাজনীতি, ক্রিকেট ও দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চলেছে। ওর স্ত্রী খুব ভাল আলুর দম বানায়''।
সৌজন্য সাক্ষাত্ বলে দাবি করেন সব্যসাচী দত্ত। তাঁর কথায়, ''সকলেই স্বাগত''। তবে মুকুলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর শনিবার মধ্যমগ্রামে তৃণমূলের লোকসভা নির্বাচনী বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন সব্যসাচী দত্ত। আর তাতে আরও জল্পনা বে়ড়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেছেন, স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য সব্যসাচী দত্ত আসতে পারেননি। আর তৃণমূলে কেউ অপরিহার্য নয়। এমনকি তিনি চলে গেলেও কোনও ফারাক পড়বে না। তবে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক তথা দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি বলেন, ''লোকসভা ভোটের আগে কর্মীরা খাটছেন, আর কেউ কারও বাড়িতে লুচি-আলুর দম খাওয়াচ্ছেন। দুটো একসঙ্গে চলতে পারে না''।
সূত্রের খবর, সব্যসাচীকে নিয়ে এমন জল্পনার মাঝেই তাঁর কাছে ফোন গিয়েছে তৃণমূলের এক প্রভাবশালী মন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন তিনি। ফোনে মুকুলের আগমনের কারণ জানতে চান তিনি।
সব্যসাচী তাঁকে যা জবাব দিয়েছেন, তা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ। সূত্রের খবর, বিধাননগরের মেয়র ফোনে বলেছেন, ''কেউ ফোন করে আসতে চাইলে না বলব। মুকুল দার সঙ্গে আমার সম্পর্ক জানোই''।
রাজ্যের মন্ত্রীর সঙ্গে সব্যসাচী দত্তের ফোনালাপ আরও স্পষ্ট হয়েছে মুকুলের কথায়। বিজেপি নেতা এদিন বলেন, ঠিকই তো বলেছে। আমিই তো ফোন করেছিলাম। লুচি-আলুর দম খেতে গিয়েছিলাম।
মুকুল-সব্যসাচীর সাক্ষাতের পর থেকে বেশ চনমনে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। বাহবা দিচ্ছেন আরএসএস নেতারাও। তাঁরা বলছেন, একটা চালেই তৃণমূলে তালগোল পাকিয়ে দিয়েছেন মুকুল। সত্যিই বিধাননগরের মেয়রকে ভাঙিয়ে আনতে পারনে, তাহলে নিঃসন্দেহে লোকসভা ভোটের আগে অনেকটা মাইলেজ পাবে বিজেপি।