Typhoon Yagi | Thailand Crocodiles: একাই শেষ করলেন ১২৫টি কুমিরকে! `জীবনের কঠিন সিদ্ধান্ত` বললেন হত্যাকারী...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সেপ্টেম্বরে মাস জুড়ে থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে তীব্র মৌসুমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ওই মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রবল বেগে আছড়ে পড়ে টাইফুন ইয়াগি।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ২০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। লামফুন প্রদেশেও তাণ্ডব চালিয়েছে প্রকৃতি। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে দেখা দিয়েছে বন্যা।
সেই দুর্যোগে একটি কুমির সংরক্ষণ কেন্দ্র মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ার পরে কুমিরের ঘেরাটোপ। ঝুরঝুরে হয়ে গিয়েছিল কুমিরের ঘেরাটোপ।
এই অবস্থায় কুমিরের খামার প্রতিবেশিদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল।
তাই বিপন্ন প্রজাতির ১০০টিরও বেশি সিয়াম কুমিরকে মেরে ফেলেন তাইল্যান্ডের একজন কুমির চাষি। বৃহত্তর স্বার্থে নিজের ব্যবসার বড় ক্ষতি স্বীকার করেন তিনি।
৩৭ বছর বয়সি ওই কুমির চাষি ন্যাথাপাক খুমকাদের দাবি, কুমিরগুলিকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত তাঁর জীবনে নেওয়া সব থেকে কঠিন সিদ্ধান্ত। তা হলে কেন এমন বিপন্ন প্রজাতির কুমিরগুলিকে মেরে ফেললেন খুমকাদ?
খুমকাদ বলেছেন, "তাদের সবাইকে হত্যা করাটা, আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। আমার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম। দেওয়ালটা ধসে গেলে অনেক মানুষের প্রাণ সংশয় হত। আমরা তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম না। এতে জননিরাপত্তার বিষয় জড়িয়ে ছিল।"
তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর সংরক্ষণ কেন্দ্রে যে সিয়াম কুমিরগুলি ছিল, তার এক-একটির দৈর্ঘ্য ১৩ ফুট পর্যন্ত। হিংস্র এই প্রাণীগুলি যদি লোকালয়ে পৌঁছে যেত, তা হলে প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি হত। অনেকের প্রাণহানিও হতে পারত।
সেই কারণে ২২ সেপ্টেম্বর ১২৫টি কুমিরকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন খুমকাদ।
এক দিনেরও কম সময়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে কুমিরগুলিকে মেরে ফেলেন তিনি।
খুমকাদ থাইল্যান্ডের খ্যতনামী কুমিরচাষি। তিনি বেশি পরিচিত 'ক্রোকোডাইল এক্স' নামে। থাইল্যান্ডে একটি কুমির সংরক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে তাঁর।
প্রায় ১৭ বছর ধরে তিনি ওই সংরক্ষণ কেন্দ্র রক্ষণাবেক্ষণ করেন। এর আগে কোনও দিনই সংরক্ষণকেন্দ্রটি এ রকম ক্ষতির মুখে পড়েনি।