Illnes is Banned: পৃথিবীর এমন একটি গ্রাম যেখানে অসুস্থ হওয়া নিষিদ্ধ...

Rajat Mondal Wed, 08 Jan 2025-5:11 pm,

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বেলকাস্ত্রো নামক এক গ্রামে বাসিন্দাদের গুরুতর অসুস্থ হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই অদ্ভুত নির্দেশনাটি জারি করেছেন গ্রামটির মেয়র আন্তোনিও টর্চিয়া। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মেয়র এই ব্যতিক্রমী নির্দেশনার মাধ্যমে স্থানীয় স্বাস্থ্যব্যবস্থার ত্রুটিগুলো তুলে ধরতে চেয়েছেন।

এই গ্রামটি ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্যালাব্রিয়াতে অবস্থিত। মেয়রের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, 'গ্রামের বাসিন্দাদের এমন যেকোনও রোগ থেকে দূরে থাকতে হবে, যাতে জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।' মেয়র টর্চিয়া এই নির্দেশকে ব্যঙ্গাত্মক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এটি আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো নোটিশের চেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে।

বেলকাস্ত্রো ক্যালাব্রিয়া অঞ্চলের অন্তর্গত, যা ইতালির দরিদ্রতম এলাকাগুলোর একটি। গ্রামটির প্রায় ১,২০০ বাসিন্দার অর্ধেকেরও বেশি বয়স্ক, যাদের বয়স ৬৫ বছরের বেশি। জরুরি চিকিৎসা পাওয়ার জন্য তাদের ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নিকটতম হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে হয়। তবে, গ্রামের সড়কগুলো অতি ধীরগতির, যেখানে সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় মাত্র ৩০ কিলোমিটার। তাছাড়া, গ্রামে অনিয়মিত চিকিৎসা সেবার জন্য রোগীদের প্রায়ই দীর্ঘ প্রতীক্ষা করতে হয়।

স্থানীয় গণমাধ্যমে মেয়র টর্চিয়া বলেন, 'যখন জানি যে জরুরি চিকিৎসা সহায়তার জন্য আমাদের এত দূর যেতে হবে, তখন নিরাপদ বোধ করাটা খুবই কঠিন। আমাদের রাস্তাগুলো যেন রোগের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক।' নির্দেশনায় বাসিন্দাদের 'ঝুঁকিপূর্ণ কার্যকলাপ এড়ানো, গৃহস্থালির দুর্ঘটনা থেকে সতর্ক থাকা এবং বাড়ির বাইরে অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা না করার' পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে এই নিয়ম কিভাবে কার্যকর হবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। বেলকাস্ত্রোর এই সমস্যাটি আরও বড় আকারে দেখা দেয় ক্যালাব্রিয়া অঞ্চলের দীর্ঘমেয়াদী দুর্নীতি এবং মাফিয়া চক্রের হস্তক্ষেপের কারণে। ২০০৯ সাল থেকে এই অঞ্চলের ১৮টি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে, যা স্থানীয়দের চিকিৎসার জন্য অন্য জায়গায় যেতে বাধ্য করছে।

২০২২ সালে কিউবা থেকে ৪৯৭ জন চিকিৎসক পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়, যা কিছুটা হলেও সমস্যা সামলাতে সুবিধা হয়েছে। তবু, স্বাস্থ্যব্যবস্থার সংকট কাটিয়ে উঠতে আঞ্চলিক গভর্নর এবং প্রশাসকরা এখনও হিমশিম খাচ্ছেন। 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link