আধারের মাধ্যমে ভর্তুকি দেওয়ায় রাজকোষে সাশ্রয় ৯০,০০০ কোটি: জেটলি
আধারকে 'গেমচেঞ্জার' আখ্যা দিলেন অরুণ জেটলি। রবিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দাবি করলেন, ভর্তুকি বাবদ খরচে ৯০,০০০ কোটি টাকা বাঁচিয়ে দিয়েছে আধার কার্ড।
ফেসবুকে 'আধারের সুবিধা' শীর্ষক পোস্টে অরুণ জেটলি লিখেছেন, আধারের মাধ্যমে ভর্তুকি দেওয়ায় সরকারের ৯০,০০০ কোটি টাকা বেঁচেছে। ২০১৮ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পরিসংখ্যান দিয়েছেন জেটলি।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের ডিজিটাল ডিভিডেন্ড রিপোর্টের উল্লেখ করলে জেটলির দাবি, প্রতি বছর আধারের মাধ্যমে ৭৭,০০০ কোটি টাকা বাঁচবে দেশের।
আধার নির্ভর ভর্তুকি প্রকল্পকে মোড় ঘোরানো আখ্যা দিয়ে জেটলি দাবি করেছেন, আধারের মাধ্যমে যে টাকা বাঁচছে, তাতে আয়ুষ্মান ভারতের মতো তিনটি বৃহত্ প্রকল্প চালানো সম্ভব হবে।
আয়ুষ্মান ভারত বা প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য প্রকল্পে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিমা পাচ্ছে গরিব পরিবারগুলি। সেপ্টেম্বরে এই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তারপর থেকে ৭ লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছেন।
কিন্তু ইউপিএ জমানায় এই আধারের বিরোধিতা করেছিলেন গুজরাটের তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই আধারের প্রশংসা করতে গিয়ে তাই জেটলি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ইউপিএ জমানায় আধার নিয়ে বেশিদূর যাওয়া হয়নি। কারণ, সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিল কংগ্রেস সরকার। নরেন্দ্র মোদীর দক্ষ নেতৃত্বের কারণেই আধার নির্ভর ভর্তুকি প্রকল্পের বাস্তবায়নে সাফল্য মিলেছে।
বর্তমানে আধারের মাধ্যমে ১,৬৯,৮৬৮ কোটি টাকার ভর্তুকি দিচ্ছে ভারত সরকার। জেটলির কথায়,''মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই সরাসরি টাকা চলে যাচ্ছে সুবিধাভোগীর ব্যাঙ্ক খাতায়। সাশ্রয়ের টাকা খরচ হচ্ছে গরিব মানুষের জন্য অন্য প্রকল্পে''।
২০১৬ সালে আধার বিল (সরাসরি ভর্তুকি) পাশ হওয়ার পর গত ২৮ মাসে ১২২কোটি আধার নম্বর দেওয়া হয়েছে। ১৮ বছরের উপরে জনসংখ্যার ৯৯ শতাংশই আধার পেয়েছেন। ২১ কোটি প্যান কার্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আধার।