Abhishek In Marishda: `আমপানে ক্ষতিপূরণ পাইনি`, নালিশ গ্রামবাসীদের, পঞ্চায়েত প্রধানকে পদত্যাগের নির্দেশ অভিষেকের
কাঁথিতে শুভেন্দু-গড়ে হাইভোল্টেজ সভায় যাওয়ার পথে মারিশদায় থেমে গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। তাঁকে কাছে পেয়ে পানীয় জল থেকে শুরু করে সরকারি প্রকল্পের সুবিধে না পাওয়ার কথা জানালেন গ্রামবাসীরা। উত্তরবঙ্গ সফরেও কর্মসূচির বাইরে গিয়ে এভাবেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে দেখা গিয়েছিল অভিষেককে।
জাতীয় সড়কের পাশে মারিশদার এক গ্রাম ঢুকে একাধিক বাড়িতে ঢুকে পড়েন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ জানতে চান গ্রামবাসীদের কাছ থেকে। তাঁকে দেখেই ঘিরে ধরেন গ্রামবাসীরা। একজন বলেন, এখানে টিউব ওয়েল একটা রয়েছে। সেই টিউবওয়েল থেকে নোনা জল বের হয়। ওয়াটার সাপ্লাইয়ের জল এক বেলা দেয়। সেই জল নিতে গিয়ে মারামারিও হয়ে যায়।
অভিষেক গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসা করেন, এখানে শুভেন্দু-শিশিরবাবুরা কিছু করেননি? গ্রামবাসীরা বলেন, ওদের এখানে কখনও দেখা যায়নি। তুমি যেমন এসেছো, ওরা কখনও আসেনি। ওদের শুধু ছবিই দেখেছি।
গ্রামবাসীদের অভিষেকের প্রশ্ন পঞ্চায়েতের লোকদের আপনারা বলেননি? গ্রামবাসীরা বলেন, ওরা হ্যাঁ করে দেব বলে চলে গিয়েছে। অভিষেক জানতে চান, এখানকার পঞ্চায়েত প্রধানের নাম কী? এলাকার মানুষ অভিষেকের কাছে জল জমারও অভিযোগ করেন। তারা বলেন, এখানে বৃষ্টি ও বন্যার জল ঢুকে গেল সেই জল বের হতে এক মাস সময় লেগে যায়। কোনও ব্যাপারে সই করাতে গেলে বারবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
সরকারি সাহায্য না পাওয়ার অভিযোগ করলেন এক গৃহবধূ। তিনি বলেন, আমার শাশুড়ির পঞ্চাশ বছর বয়স হল কোনও সরকারি সুবিধে পাননি। অভিষেক জানতে চান, ঘরের জন্য নাম লিখিয়েছিলেন কিনা? ওইসব মহিলা বলেন, পঞ্চায়েতে নাম লেখানো হয়েছে। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। আমপানের সময় ত্রিপলও পাইনি। জল হলে ঘরে দাঁড়িয়ে থাকতে পারি না। জল হলে স্কুলে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়। পঞ্চায়েতের সদস্যরা বলল, ওদের ঘর ইট দিয়ে ঘেরা। এদের কিছু দেওয়া যাবে না। ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকে দেখেন অভিষেক। তাঁদের নিজের ফোন নম্বর দেন। তিনি বলেন, সরকারি লোকজন এসে আপনাদের সুবিধে অসুবিধের কথা জেনে যাবে। তার পর যা করার আমি করব। গ্রামবাসীদের অভিযোগ শুনে ২ পঞ্চায়েত প্রধানকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের নির্দেশ দেন অভিষেক।