Baradar-এর নেতৃত্বেই নয়া Taliban সরকার! তাহলে তাঁর `ভারত-নীতির`-দিকেই তাকিয়ে বিশ্ব

Debasmita Das Fri, 17 May 2024-2:29 pm,

 দেবস্মিতা দাস: আফগানিস্তানের 'ভারত নীতি'-ই এখন জোর চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। তালিবান কুর্সি দখলের প্রাক মুহুর্ত পর্যন্ত যে সম্পর্ক ছিল সে সমীকরণে বদল আসবে তা স্বাভাবিক। তালিবান অন্দরের খবর, আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের সম্ভাব্য শাসক হতে চলেছেন আবদুল গনি বেরাদর।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে সামনে এসেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে এই তালিবান নেতার সম্পর্কে বহু দিন ধরেই নানা উত্থান-পতন রয়েছে। সোজা কথায়, ঠিক এই মুহূর্তে পাকিস্তানের সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়াটা কোন স্তরে, তা সারা বিশ্বের কাছে তত পরিষ্কার নয়। এই প্রেক্ষিতে কি ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সমীকরণ স্থাপন করতে পারেন এই তালিবান নেতা?

সম্প্রতি তালিবানের বর্ষীয়ান নেতা শের মহম্মদ আব্বাস স্তানেকজাই জানান যে তাঁরা ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। ভারতকে উপমহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবেও উল্লেখ করেন। যদিও তালিবান ক্ষমতায় আসার পর 'সম্পর্কের সমীকরণে' ভারতের অবস্থান কী তা স্পষ্ট করা হয়নি। 

কূটনৈতিক মহলের মত, আফগানভূমিতে আটক ভারতীয়দের নিরাপত্তার দিক এবং তাঁদের নির্বিঘ্নে দেশে ফেরানোর 'স্বার্থেই' সতর্কতা অবলম্বন করেছে ভারত। কূটনৈতিক মহলের মত, আফগানভূমিতে আটক ভারতীয়দের নিরাপত্তার দিক এবং তাঁদের নির্বিঘ্নে দেশে ফেরানোর 'স্বার্থেই' সতর্কতা অবলম্বন করেছে ভারত। 

 

 

অতএব ভারত যে বিরোধী আসনে বিরাজমান এ অঙ্ক সরল। কিন্তু মাঝের জট আবদুল গনি বেরাদর। এর কারণ খুঁজতে ইতিহাস দেখতে হয়। ২০১০ সালে করাচিতে পাকিস্তানের পুলিস বেরাদরকে আটক করে।  লোহার চেন দিয়ে হাত বেঁধে নেওয়ার ছবিও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল।

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি ছিল আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভাল রাখতে তালিব নেতাকে কারাগারে পাঠায় পাকিস্তান। যদিও ২০১৮ সালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। সন্ত্রাস মামলায় আট বছর জেল খাটা আব্দুল গনি বেরাদরের সেই মুক্তির নেপথ্যে ছিলেন স্বয়ং ট্রাম্প, এমন তথ্যও শোনা গিয়েছিল কানাঘুষো। 

আফগানভূমে যুদ্ধের সমঝোতা ও মীমাংসা করতেই এই নেতাকে মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলে খবর। তবে গত দু'বছরে পাকিস্তান এবং চিনের সঙ্গে বিশেষ ভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলেছেন এই নেতা, এমনটাই জানা গিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে। 

যদিও ভারত সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি কী হতে চলেছে সে বিষয়ে কোনও ইঙ্গিত আবদুল গনি বেরাদর দেননি। যদি ধরা নেওয়া যায় তালিবানের সাম্প্রতিক ঘোষণায় তিনি সহমত তবে ভারতের জন্য চিন্তার পারদ কমতে পারে।

শনিবার যদিও বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তালিবানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে 'সাবধানের মার নেই' নীতিতেই এগোবে ভারত। ইতিমধ্যে আফগানিস্তানে বহু বিনিয়োগ করেছে ভারত।

তখন অবশ্য সম্পর্কে 'অনিশ্চয়তা' আসেনি। তালিবান কি সেই বন্ধুত্বের দায় নেবে? 

 বিশ্বকে অবাক করে নয়া কোনও কুটনৈতিক চাল দেবেন কি আবদুল গনি বেরাদর?

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link