Afghanistan: মাত্র ৩ মাসেই পতন কাবুলের, কোন পথে দখল তালিবানের? পড়ে নিন
নিজস্ব প্রতিবেদন: কথা মতো মে মাসে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে শুরু করে ন্যাটো। প্রায় ৯ হাজার ৬০০ সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়। এর মধ্যে আড়াই হাজার মার্কিন সেনা। তার পরই হেলমন্দ প্রদেশে মাথাচাড়া দেয় তালিবান।
মে মাসের মাঝামাঝি কন্দহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়ারদাক প্রদেশ দখল নেয় তালিবান। জুন মাস শেষ হতে না হতে আফগানিস্তানের একের পর এক প্রদেশ দখল করে সন্ত্রাসীরা।
জুলাইয়ের গোড়ায় বগরম প্রদেশ থেকে সেনা তুলে ন্যাটো। তার দিন দুয়েকের মধ্যে পঞ্জওয়াই জেলা দখলে আনে তালিবান।
১৪ জুলাই স্পিন বোল্ডাক দখল করে তালিবান। ১৬ জুলাই জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় চিত্র সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকির।
অগাস্টের শুরুতে আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও একাধিক আইনসভার সদস্যের বাড়িতে হামলা চালায় তালিবান। ৬ অগাস্ট গুলি করে হত্যা করা হয় আফগান সরকারের জনসংযোগ আধিকারিককে।
১১ অগাস্ট কুন্দুজ প্রদেশে আত্মসমর্পণ করে হাজারে হাজারে আফগান সেনা।
পরের দিন ১২ অগাস্ট কাবুল থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে গজনি প্রদেশের দখল যায় তালিবানের হাতে। পতন হয় হেরাটের।
১৩ অগাস্ট কন্দর, লস্কর গাহ এবং ১৪ অগাস্ট মাজার-ই-শরিফ শহরে প্রতিষ্ঠিত হয় তালিবানি রাজত্ব।
রবিবার সকালে পতন হয় জালালাবাদের। আফগান রাজধানী কাবুলকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে জেহাদিরা। ভেঙে পড়ে কাবুলের প্রতিরক্ষা। শহরের দখল নেয় তালিবান। সেখানকার সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘনি।