বুুলবুল-এর গতিবিধি ট্র্যাক করে রাজ্যবাসীর প্রাণ বাঁচিয়ে `হিরো` আলিপুরের ডপলার রাডার
প্রীতম দে : ঘূর্ণিঝড়ের সঠিক গতিপথ নির্ধারণ, আর সেই অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ। ঘূর্ণিঝড় 'বুলবুল'-এর হাত থেকে তাই রক্ষা পেয়েছে অনেক প্রাণ। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় কোন পথে যাবে আগে থেকে অনুমান করা বলে দেওয়া কি এতটাই সহজ? একদমই না। তার জন্য দরকার উন্নত প্রযুক্তির সঠিক অনুসরণ।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর এখন আগের থেকে অনেক বেশি আধুনিক প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ। ফলে আবহাওয়াবিদরা তথ্য পাচ্ছেন আরও বেশি এবং আরও বেশি সঠিক। আর তাই দক্ষতার সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের ভবিষ্যৎ বলে দিচ্ছেন আগের থেকে অনেক বেশি নির্ভুলভাবে।
ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি উপগ্রহ চিত্রে পাওয়া গেলেও, তার সীমাবদ্ধতা আছে আর সেখানেই রাডারের দক্ষতা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের নিউ সেক্রেটারি বিল্ডিংয়ের উপর সিমেন্টের ফুটবল, নিশ্চই সবার নজরে পড়েছে। এটি হল ডপলার রাডার।
এই ডপলার রাডারের ২৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ঢুকে পড়লেই রাডারের আয়ত্বের মধ্যে চলে আসে তার গতিবিধি।
অনেক সময় রাডারের ব্যাসার্ধ ৫০০ কিলোমিটারও হয়। প্রসঙ্গত, বুলবুল প্রথমে গোপালপুরের রাডারে প্রবেশ করেছিল। তারপর কলকাতার রাডারে।