মমতা বিরোধিতা করলেও নাগরিকপঞ্জির প্রক্রিয়া বন্ধ করব না, হুঁশিয়ারি অমিতের
অসমের নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার রাজ্যে এসেই তাঁকে হুঁশিয়ারি দিলেন অমিত শাহ। মমতাকে জবাব দেওয়ার মঞ্চ হিসেবে বেছে নিলেন শনিবাসরীয় যুব মোর্চার সভা।
অমিত শাহ বলেন, ''অসম চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। সেই মতো অসম থেকে অনুপ্রবেশকারী বিতারণের কাজ চলছে।''
মোদীর সেনাপতির অভিযোগ, অনু্প্রবেশকারী নিয়ে তৃণমূল ও কংগ্রেসকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির কারণে তারা নীরব অবস্থান নিয়েছে। তাদের বলতে, দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপোষ করা হবে কিনা!
অমিত আরও বলেন, ''বাংলায় বোমা ফাটছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের কারণে। বাংলাদেশিদের জন্য কাজ পাবেন না বাংলার হিন্দু ও মুসলিমরা''।
অমিতের কথায়, ''এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ২০০৫ সালে লোকসভায় স্পিকারের সামনে কাগজ ছুড়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করছে সিপিএম''।
মমতা বিরোধিতা করলেও তাতে কোনও ফারাক পড়বে না বলেও জানিয়েছেন অমিত। তাঁর হুঙ্কার, মমতাদিকে বলতে চাই, আমরা ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী। দেশই আমাদের অগ্রাধিকার। যতই বিরোধ করুন নাগরিকপঞ্জি তৈরির প্রক্রিয়া থামাব না।
রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব দিল্লিকে জানিয়েছিল, নাগরিকপঞ্জি নিয়ে রাজ্যে বাঙালিদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন মমতা। সেই বিভ্রান্তি কাটাতে অমিত শাহকে অনুরোধ করেছিলেন দিলীপ ঘোষরা।
অমিতের অভয়বাণী, দেশের হিন্দু বা মুসলিমরা এখানেই থাকবেন। বাংলাদেশিদের তাড়ানো হবে। তবে হিন্দুরা শরণার্থী হিসেবে নাগরিকত্ব পাবেন। অমিতের কথায়, বাংলার শরণার্থীরা এখানেই থাকবেন।
অমিত মনে করিয়ে দেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী ২০১৬ বিল এনেছে বিজেপি সরকার। এই বিলে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ ও খৃষ্ট্রানরা শরণার্থী হিসেবে নাগরিকত্ব পাবেন।
অমিত বলেন, ''তৃণমূলকে জিজ্ঞেস করতে চাই, রাজ্যসভা ও লোকসভায় যখন বিলটি আসবে, আপনারা সমর্থন করবেন তো! লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল ও কংগ্রেসকে এনিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে''।