জন্মদিনের শুরুটা কেমন হল অমিতাভ বচ্চনের, শেয়ার করলেন ছবি ও মনে কথা
জন্মদিনের শুরুতে এই ছবিটি পোস্ট করেছেন অভিনেতা
নিজস্ব প্রতিবেদন: ৭৮ এ পা দিলেন অমিতাভ বচ্চন। করোনা জয়ী মানুষটি গতকাল মধ্যরাত পর্যন্তও ব্যস্ত ছিলেন কেবিসির সেটে। জন্মদিনের শুরুটা কেমন ভাবে হল তার ছবি সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন বিগ-বি।
কাজ অন্ত প্রাণ মানুষটি করোনা পরিস্থিতিতেও বের হয়েছেন বাড়ির বাইরে। সাময়িক কাবু করলেও করোনা টলাতে পারেনি বিগ-বিকে।
কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই নেটিজেনদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। শেয়ার করেছেন নিজের কষ্ট, একাকীত্ব ও মন খারাপের কাহিনি।
হাসপাতালে থাকা কালীন তিনি বারবার করে বাবা হরিবংশ রাই বচ্চনের উপদেশ নিয়ে কলম ধরেছিলেন। জন্মদিনের শুরুটাও সেভাবে করলেন অমিতাভ বচ্চন।
শুটিং করার পর মাঝরাত পর্যন্ত চলছিল শোয়ের ডাবিং। সেই ছবিই টুইট করেছেন অমিতাভ। ক্যাপশনে তাঁর বাবার বলা কথা “জীবন যতদিন রয়েছে ততদিনই সংগ্রাম”।
অমিতাভ বচ্চনের জন্মদিন পালন ভক্তদের কাছে কেমন যেন আচার অনুষ্ঠান হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিংবদন্তী সাদা কুর্তা উপর শাল জড়িয়ে ফিল্মি কায়দায় ভক্তদের দেখা দেন জন্মদিনে। অনেকটা পিতৃসুলভ ছবি। তবে এবার তা হবে না।
বিগ-বির জীবন শান্ত থেকে ক্রমশ উত্তাল হয়েছে। বিগ বি আগেও থেকেও এখন অনেক বেশি ব্যস্ত, তিনি কখনও বুঝতে দেননি বিগত বছরগুলির জীবনের উপর দিয়ে কী কী ঝড় বয়ে গিয়েছে।
ঠিক একান্ন বছর আগে তিনি কা আব্বাসের ‘সাত হিন্দুস্তানি’ ছবিতে আত্মপ্রকাশ করেন। ছবিতে ছিল গোয়ার পর্তুগিজ পরিস্থিতিতে এক জ্বলন্ত বিপ্লবীর ভূমিকা।
তাঁর গলার স্বর যা কালজয়ী সংলাপ তৈরি করেছে-‘আজ মরে পাস বিল্ডিং হ্যায়, প্রপার্টি হ্যায় ..’, ‘হম জাহান খারে হো জাতে হ্যায় লাইন ওয়াহি সে শুরু হোতি হ্যায়’, ‘তুমহারা নাম কয়্যা হ্যায় বসন্তী’, ‘ডন কা ইন্তেজার তো গয়ারা মুলক কা পুলিশ কর রহি হ্যায়’, ‘রিসতে ম্যায় তো হাম তুমহারে বাপ লাগতে হ্যায়’, ‘আই ক্যান টক ইংলিশ, ওয়াক ইংলিশ’।
নিঃশব্দতা থেকে স্বতঃস্ফূর্ততা, প্রকাশ মেহরার জঞ্জিরে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই অন্তত কিছুটা এগিয়েছিলেন অমিতাভ। এখানে তিনি কম কথা বলেছিলেন, রাগ দেখিয়েছেন বেশি। কথা হলেই যেখানে তিনি বলতেন “জব তাক বেঠনে কে লিয়ে না কাহা যায়, শরাফত সে খারে রহো,” যে চেয়ারে শের খান বসতে গিয়েছিলেন তাতে লাথি মেরে, পাঠান শের খানকে (প্রাণ) আদেশ দেন। ব্যাস, এর পর থেকেই তিনি রাগী মানুষ হিসেবে পরিচিত হতে শুরু করলেন।
প্রচলিত কথা অনুসারে, বচ্চন মন তৈরি করেছিলেন যে জঞ্জির যদি ফ্লপ হয় তবে তিনি একেবারে নিজের শহর এলাহাবাদে ফিরে আসবেন। এই নবাগত ইতিমধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ফ্লপ দিয়েছিলেন এবং সম্ভবত যথেষ্ট চড়াই উতরাইও দেখে নিয়েছিলেন। তবে এই ছবির পরই তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকে।