Extinction of Penguins: আন্টার্কটিকা থেকে চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে পেঙ্গুইন! কেন জানলে লজ্জিত হবেন...
গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আন্টার্কটিকার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা কাজে আসছে না। গবেষকরা এবার অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার উপর জোর দিচ্ছেন।
গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান লেখক বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তনে আন্টার্কটিকার কোনো অবদান নেই। জনবসতিহীন মহাদেশটির প্রাণীজগতে এই বিপদ নেমে আসার জন্য এই ভূখণ্ডের বাইরের মানুষই দায়ী।'
তিনি আরও বলেন, আন্টার্কটিকার জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে চাইলে আমাদের উচিত সকলে মিলে আগে উষ্ণতা কমানো। পাশাপাশি, স্থানীয় ও আঞ্চলিকভাবে পরিবেশ সংরক্ষণও করতে হবে।
তবে সব চেয়ে যেটা দুঃখিত করেছে এই খবরে সেটা হল, আন্টার্কটিকায় 'সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা' প্রজাতির তালিকাটির একেবারে শীর্ষে পেঙ্গুইন। বিশ্বের এই অপরূপ সামুদ্রিক প্রাণীটি চলতি শতকের মধ্যেই পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পেঙ্গুইনের বংশবৃদ্ধি ৮০ শতাংশ কমে যেতে পারে বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আন্টার্কটিকায় মানুষের উপস্থিতি দিনে দিনে বাড়ছে। সেখানে বৈজ্ঞানিক গবেষণা বাড়াতে নানা পরিকাঠামোও গড়ে তোলা হচ্ছে। একটি তথ্য বলছে, ১৯৯০ সালের পরে আন্টার্কটিকায় পর্যটন বেড়েছে ৮ গুণেরও বেশি। অন্য একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মানুষের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির কারণে আন্টার্কটিকায় বরফ গলে যাওয়া হারও বেড়েছে। বিজ্ঞানীরা সেখানে কার্বন দূষণের প্রমাণ পেয়েছেন। জীবাশ্ম জ্বালানির কালো ধোঁয়া দেখা গিয়েছে। যা আন্টার্কটিকার পরিবেশের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর।
মহাদেশটিকে বাঁচাতে সেখানে মানুষের উপস্থিতিতে ও যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আনার কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা সেখানে আর কোনও নতুন পরিকাঠামো না গড়ে তোলার কথাও বলেছেন।