একে করোনায় রক্ষে নেই, ধেয়ে আসছে ৫টি পেল্লায় গ্রহাণু
নিজস্ব প্রতিবেদন: ওরা আসার খবর পাওয়া গেলেই শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত নেমে যায়। শেষে কিনা গ্রহাণুর ধাক্কায় প্রাণটা খোয়াতে হবে! করোনায় এখনও পর্যন্ত কোনওমতে টিকে থাকা গেছে। কিন্তু গ্রহাণুর সঙ্গে যদি পৃথিবীর মোক্ষম ধাক্কা লাগে। আসলে দুহাজার বিশে যা ঘটে চলেছে। না আঁচালে বিশ্বাস নেই।
এর আগে সব গ্রহাণুই পৃথিবীর কান ঘেঁষে বেরিয়ে গেছে। কিন্তু একটু এদিক ওদিক হলেই তো সাড়ে সর্বনাশ। সপ্তাহদুয়েক আগেই পৃথিবীর প্রায় গায়ের ওপর হামলে পড়েছিল একটা গ্রহাণু। এবার ধেয়ে আসছে পাঁচ-পাঁচটি গ্রহাণু। তার মধ্যে একটা তো বোয়িং-৭৪৭ বিমানের আকারের। বুধবারই সেটি পৃথিবীর কক্ষপথে দুম করে ঢুকে পড়তে পারে। নাম "২০২০ আর কে-২'।
আরও ৪টি গ্রহাণু ঢুকবে বৃহস্পতিবারের মধ্যে। নাসার সতর্কবার্তায় নড়েচড়ে বসেছেন বিজ্ঞানীরা।
গ্রহাণুগুলি মূলত থাকে মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝখানে অ্যাস্টেরয়েড বেল্টে। সূর্যের চারপাশে পাক খাওয়ার সময় কেউ কেউ পৃথিবীর খুব কাছে এসে পড়ে। এদের বলা হয় "নিয়ার-আর্থ অবজেক্টস'। এদের কক্ষপথের ওপর বেশি নজরদারি চালানো সম্ভব হয় না। তাই বিপদ বেশি। ধাঁই করে ধাক্কা লাগলে, কী যে হবে, কে জানে!
বিজ্ঞানীদের দাবি, এই গ্রহাণুগুলিকে ঠিকমতো পর্যবেক্ষণ করতে পারলে সৌরমণ্ডলের জন্মের ইতিহাস সম্পর্কে অনেক কথা জানা যায়। এবার তাই "২০২০ আরকে ২'-এর ওপর খুব কড়া নজর রাখছে নাসা।
কক্ষপথ বদলে যদি আচমকা পৃথিবীর আরও কাছে চলে আসে, তা হলেই বিপদ।বুধবার যে গ্রহাণুটি পৃথিবীর কক্ষপথে ঢুকছে, সেটির আকার ১১৮ থেকে ২৬৫ ফুটের মধ্যে। গতিবেগ গড়ে ৬.৬৮ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড। খালি চোখে দেখা যাবে না। বিপদ তো ওখানেই।
৫টি গ্রহাণুর যদি পৃথিবীর কক্ষপথে ঢুকে মাস্তানি করার সাধ জাগে, তা হলেই কেলেঙ্কারি। অকালে অক্কা।