Birbhum News: বাড়ি থেকে ডেকে ৩ ভাইকে পিটিয়ে খুন, ১৩ বছর পর গ্রামে ফিরল পাড়ার ৬ পরিবারের ১৫০ জন
টানা ১৩ বছর পর লাভপুরের গ্রামে ফিরল ৬ পরিবারের ১৫০ সদস্য। দীর্ঘ ১৩ বছর মামলা চলার পর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশে ওইসব লোকজনকে ঘরে ফেরানোর নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশের পরে তাঁরা গ্রামে পৌঁছলেন। গ্রামে ফিরে খুশি হলেও অভিযুক্তদের শাস্তির অপেক্ষায় এখনও ওইসব পরিবার। -তথ্য ও ছবি- প্রসেনজিত্ মালাকার
২০১০ সালে বীরভূমের লাভপুরের বুনিয়াডাঙ্গাল গ্রামে একই পরিবারের ৯ ভাইয়ের মধ্যে ৩ জনকে ডেকে এনে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় নিহত হন ধানু সেখ, কটুন সেখ, ওসুদ্দিন সেখ। অভিযোগ ওঠে লাভপুরের তত্কালীন দাপুটে তৃণমূল নেতা মনিরুল ইসলামের দিকে। -তথ্য ও ছবি- প্রসেনজিত্ মালাকার
মামলা গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। হাইকোর্ট ওই পরিবারটিকে নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দেয়। নির্দেশ ছিল ওইসব পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ৬ পুলিসকর্মী, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৪ জওয়ান নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু সেই নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ পরিবারের। বাধ্য হয়েই তাঁরা গ্রাম ছাড়েন। -তথ্য ও ছবি- প্রসেনজিত্ মালাকার
ওইসব পরিবারের অভিযোগ, ২০১০ সাল পরিবারের ৩ জনকে খুনের পর মনিরুল ইসলাম ও তার নেতৃত্বে তাদের গ্রাম ছাড়া করে দেওয়া হয় । সেই ২০১০ সাল থেকে লাভপুর বোলপুর-সহ আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। দীর্ঘ ১৩ বছর পর হাইকোর্টের নির্দেশে জাস্টিস রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ পরিবারকে গ্রামে ফেরানোর জন্য নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে ১৩ বছর পর ৬ ভাই-সহ ১৫০ জন গ্রামে ফিরেছেন।
হাইকোর্টের নির্দেশ পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য পেয়ে গ্রাম ফিরলেও মনের মধ্যে একটু হলেও ভয় কাজ করছে বলে দাবি ওইসব পরিবারের। তবে প্রশাসনের উপর আস্থা রাখল পরিবারগুলি। আজ লাভপুর থানার পুলিসের নেতৃত্বে বাড়ির তালা ভেঙে এই পরিবারের লোকগুলি কে বাড়িতে ফেরানো হয়।। প্রশাসনের তরফে সর্বোত্ত ভাবে সুরক্ষার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। টানা ১৩ বর ঘরে ঢুকে এক মহিলা বললেন, জিনিসপত্র কিছুই নেই। কে কোথায় নিয়ে চলে গিয়েছে কিছু জানি না। সব লুট করে নিয়ে গিয়েছে।