কৌশিকী অমাবস্যার রাতে ঘটে এই বিরল ঘটনা! ভক্তের জীবন চিরতরে বদলে যেতে পারে এতে...
মা তারারই আরেক নাম কৌশিকী। এই দিনেই দশমহাবিদ্যার অন্যতমা দেবী তারা মর্ত্যধামে আবির্ভূতা হন। এদিনটিতে তাই বীরভূমের তারাপীঠে মা তারার বিশাল পুজো ও উৎসব হয়। ভক্তেরা ছোটেন তারাপীঠে।
পুরাণমতে, এই দেবী কৌশিকীই শুম্ভ-নিশুম্ভকে বধ করেছিলেন। সেই থেকেই পালিত হয়ে আসছে কৌশিকী অমাবস্যা।
কৌশিকী অমাবস্যার গুরুত্ব অন্য অমাবস্যার থেকে আলাদা। বলা হয়, তন্ত্রসাধকদের জন্য এই রাত এক মহানিশি, মহাতিথি। সাধারণ মানুষ এই তিথি পালন করেন তাঁদের জীবনের বাধা-বিপত্তি দূর করতে, জীবন থেকে অশুভ শক্তিকে সরিয়ে দিতে।
বলা হয়, এদিন রাতে এক বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরক উভয়ের দরজাই কিছুক্ষণের জন্য খুলে যায়। সাধক তাঁর ইচ্ছেমতো বিশেষ শক্তিসাধনার মাধ্যমে সিদ্ধিলাভ করে বাঞ্ছিত ধামে চলে যান।
দৈত্যপীড়িত দেবতারা কৈলাসে শিবের কাছে এসে তাঁদের উপর অসুরদের অত্যাচারের বিহিত চান। শিব তখন দেবতাদের সামনেই পার্বতীকে ডেকে বলেন, 'কালিকা, তুমি ওঁদের উদ্ধার করো।' সব দেবতার সামনে তাঁকে 'কালী' বলে ডাকায় পার্বতী ক্ষুব্ধ ও অপমানিত বোধ করেন, রেগেও যান। তখন তিনি তাঁর গাত্রবর্ণ পরিবর্তনের লক্ষ্যে মানস সরোবরের ধারে কঠিন তপস্যায় বসেন।
তপস্যার শেষে মানস সরোবরের জলে স্নান করেন পার্বতী। স্নানের পরে ত্বকের সব কালো-কোষ পরিত্যাগ করে পূর্ণিমাচাঁদের মতো গাত্রবর্ণ ধারণ করেন তিনি। ওদিকে তাঁর পরিত্যাগ করা ওই কালো কোষগুলি থেকে অপূর্ব সুন্দরী কৃষ্ণবর্ণা এক দেবীর সৃষ্টি হয়। সেই দেবীই কৌশিকী।