১৩৪ বছরের বিতর্কের শেষে `ওখানেই হবে রাম মন্দির`, জেনে নিন ইতিহাস

Sat, 09 Nov 2019-3:41 pm,

নিজস্ব প্রতিবেদন: কার জমি? কার অধিকার? ১৩৪ বছর ধরে চলেছে আইনি লড়াই। রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্কের অবসানে, এখন সুপ্রিম কোর্টের দিকেই নজর গোটা দেশের। অযোধ্যার বিতর্কিত এলাকায় প্রথম নথিবদ্ধ হিংসার ঘটনা ১৮৫৩ সালে। ৬ বছর পর,ব্রিটিশ সরকার দুই সম্প্রদায়ের উপাসনার জায়গা আলাদা করে দেয়। মসজিদের বাইরে রাম চবুতরায় পুজো আর ভিতরে শুরু হয় নমাজ।  

১৮৮৫। অযোধ্যায় জমির অধিকার নিয়ে ফৈজাবাদের জেলা আদালতে মামলার শুরু। রাম চবুতরায় মন্দির তৈরির জন্য মহন্ত রঘুবীর দাসের আর্জি খারিজ করে আদালত।

স্বাধীনতার ঠিক ২-বছরের মধ্যেই বদলে যায় স্থিতাবস্থা। ১৯৪৯-এর ২২শে ডিসেম্বর রাতে, বাবরি মসজিদের ভিতর রেখে আসা হয় রামলালার মূর্তি। ভক্তদের কাছে প্রকট হন ভগবান।

পরের বছর ফৈজাবাদ জেলা আদালতের নির্দেশে মসজিদে তালা পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় মূর্তি দর্শন।

 

১৯৫৯-এ বিতর্কিত জমির মালিকানা চেয়ে মামলা করে নির্মোহী আখাড়া।

২ বছর পর আদালতে, পাল্টা ওই জমির মালিকানা দাবি করে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। সেই মামলার আবেদনকারী হাসিম আনসারি, আমৃত্যু ছিলেন, অযোধ্যা মামলার অন্যতম মুখ। আটের দশকে রামজন্মভূমি আন্দোলনে গতি আনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। 

১৯৮৬ সালে ১ ফেব্রুয়ারি বাবরি মসজিদের তালা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় ফৈজাবাদের আদালত। শুরু হয় রামলালা দর্শন। তৈরি হয় বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি।  

শাহ বানু বিতর্কের পর হিন্দু কার্ড খেলতে গিয়ে আদালতের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আপিল করেনি রাজীব গান্ধী সরকার। রায়ে বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টে যায় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ও বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি।  

১৯৯০-এর ২৫শে সেপ্টেম্বর রাম মন্দিরের দাবিতে সোমনাথ থেকে অযোধ্যা, রথযাত্রা শুরু করেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। 

৯২-এর ৬ই ডিসেম্বর করসেবকদের হাতে ভাঙা হয় বাবরি মসজিদ।  

 

এ বার অযোধ্যা জমি মামলার সঙ্গে যোগ হয় বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলা। নিম্ন আদালতে, ৬ই ডিসেম্বরের ঘটনার বিচার শুরু হয়।

২০০২-এর এপ্রিলে এলাহাবাদ হাইকোর্টে চলে যায় অযোধ্যা জমি মামলা।

২০১০-এর ৩০ সেপ্টেম্বর, অযোধ্যার জমি, রামলালা, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ও নির্মোহী আখাড়ার মধ্যে, তিন ভাগে ভাগ করে দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ।

 

পরের বছর ৯ই মে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে ১৪টি আর্জি জমা পড়ে। ২০১৭-এ তত্কালীন প্রধান বিচারপতি জেএস কেহর, আদালতের বাইরে আলোচনার মাধ্যমে জমি বিতর্কের মীমাংসার কথা বললেও লাভ হয়নি।

 

গত বছর ৮ই ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চে সবকটি আর্জির একসঙ্গে শুনানি শুরু হয়। 

২রা অক্টোবর প্রধান বিচারপতির পদ থেকে দীপক মিশ্র অবসর নেওয়ায় বেঞ্চ ভেঙে যায়।গত ৮ই জানুয়ারি অযোধ্যা জমি মামলার চূড়ান্ত শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে তৈরি হয় ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। 

পরে সে বেঞ্চ পুনর্গঠন করা হয়। বিতর্কিত জমির কাছে সরকার অধিগৃহীত ৬৭ একর জমি পুরনো মালিকদের ফেরানোর আর্জি জানায় সরকার। শেষ পর্বে টানা ৪০ দিনের শুনানির পর ১৬ অক্টোবর রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link