অফিস টাইমে ৬০০ যাত্রী নিয়ে বনগাঁ-ক্যানিং লোকাল! কীভাবে আটকানো সম্ভব?
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: সকাল ও সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে সীমিত সংখ্যক লোকাল ট্রেন চালানোর কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। কিন্তু স্টাফ স্পেশাল ট্রেনেই যে ভাবে বাঁদুর ঝোলা ভীড় হচ্ছে তাতে কীভাবে সম্ভব হবে আগমী দিনে লোকাল ট্রেন চালানো?
আসনসংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চালু করতে চাইছেন রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এক্ষেত্রে ট্রেন থেকে যাত্রী নামিয়ে দেওয়া বা যাত্রী উঠতে না দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিলে বিরাট বচসার সৃষ্টি হতে পারে।
বেশ কয়েক মাস ধরেই রেল পরিষেবা নিয়ে যাত্রী বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে। রেলকর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট ট্রেনে উঠতে দেওয়ার দাবিতে রেল পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। সুতরাং, ট্রেনে উঠতে না দিলে, দিনের পর দিন একই পরিস্থিতি থাকলে অবরোধ হওয়ার আশঙ্কাও এড়িয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। শনিবারই এক প্রস্ত গোলমাল হয় হাওড়া স্টেশনে।
এরপর রয়েছে সামাজিক দুরত্ববিধি বজায় রাখার নিয়ম, অফিস টাইমে কী করে সম্ভব হবে? ৫ নভেনম্বর ৪টের সময় পুনরায় চূড়ান্ত বৈঠক করে পরিকল্পনা করা হবে।
অন্যদিকে , মঙ্গলবার রাজ্য রেলকে স্টাফ ট্রেন চালানোর অনুরোধ জানিয়েছে। ওয়াকিবহালমহলের একাংশের মতে, ট্রেন সংখ্যা বেশি থাকলে ফাঁকা থাকবে প্রত্যেকটা ট্রেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন রেলকর্তারা। পরে তাঁরা সবিস্তার আলোচনা করেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, পরিবহণসচিব এবং পুলিশকর্তাদের সঙ্গে।
সেখানে বলা হয়, বিগত চিঠির পরিপেক্ষিতে হাওড়া ও শিয়ালদহ লাইনে যে সমস্ত ট্রেন জেলা, মফরসল ও শহরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে সেই সমস্ত ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে চালানোর প্রস্তাব রেখেছে রেল।
বাধ্যতামূলক মাস্ক ও থার্মাল চেকিং। ১২০০ জন যাত্রীর জায়গায় ৬০০ জন যাত্রী যাতে বসে যেতে পারে, সেই দিকে নজর থাকবে।
ই-টিকিটে জোর দেওয়ার ভাবনা চিন্তা। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লোকাল ট্রেন চালাতে চায় রেল।
কালী পুজোর পর আরও ২৫ শতাংশ ট্রেন চালানোর ইচ্ছে রেলের।