Hilsa: রাজ্যে এল বাংলাদেশের ইলিশ, বাংলাকে হাসিনা সরকারের পুজোর উপহার
নিজস্ব প্রতিবেদন: কালো জিরে, বেগুন দিয়ে পাতলা ঝোলই হোক কিংবা টক বা পাতুরি। ঝালে-ঝোলে-অম্বলে ইলিশ (Hilsa) সব সময়ই বাঙালির প্রিয়। রুপোলী শস্যর স্বাদে, গন্ধে মোহিত মাছ-প্রেমিরা। প্রতি বছরই বাংলাদেশের ইলিশের (Hilsa) আশায় বুক বাঁধে পশ্চিমবঙ্গবাসী। কিন্তু হাতে মেলে খুব সামান্য়ই। এবার! এই বছর কি বাংলার বাজারে ইলিশের (Hilsa) সেই খরা কাটতে চলেছে? উত্তর, কিছুটা হলেও কাটবে।
প্রতিক্ষার অবসান! অবশেষে রাজ্যে এল বাংলাদেশের ইলিশ (Hilsa)। বুধবার রাতে বাংলাদেশ থেকে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত হয়ে ইলিশ (Hilsa) বোঝাই লরি ঢুকল এই রাজ্যে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারের শুরু হয়েছে ওই ইলিশের (Hilsa) বেচাকেনা। ২০১২-তে ইলিশ রফতানি উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বাংলাদেশের শেখ হাসিনার সরকার (Sheikh Hasina)। ফলে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় ইলিশ (Hilsa) রফতানি বন্ধ ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার দু'বছর আগে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। ফলে এবারও পুজোর উপহার হিসাবে বাংলাদেশের ইলিশ (Hilsa) পাচ্ছে এই রাজ্য়। গত সোমবার বাংলাদেশের (Bangladesh) বাণিজ্য মন্ত্রক কলকাতায় ২০৮০ মেট্রিক টন ইলিশ (Hilsa) পাঠানোর অনুমতি দেয়। ৫২ জন মাছ এক্সপোর্টারের সাহায্যে ৪০ মেট্রিক টন মাছ এপার বাংলায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত মতো, বুধবার প্রথম বাংলাদেশের ইলিশের গাড়ি হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারে ঢুকেছে। বেশিরভাগ মাছের ওজন এক কেজি বা তার বেশি। নিলামে মাছের দাম ঠিক হবে। ব্যবসায়ীরা জানান, কলো প্রতি দাম বারোশো থেকে তেরোশো টাকা পর্যন্ত উঠতে পারে। সেখান থেকেই মাছ ছড়িয়ে পড়বে কলকাতার সবকটি বড় বাজারে।
এ বছর দিঘা, শংকরপুর, কাকদ্বীপ এবং ডায়মন্ডহারবার থেকে সেভাবে ইলিশ আসেনি। যা ইলিশ এসেছে তাও খোকা ইলিশ। বাংলাদেশের ইলিশ ঢোকায় এবার বড় ইলিশের ঘাটতি মিটবে বলে মনে করছে বিক্রেতারা। বাঙালি পাতে দেখা পাবে পদ্মার রুপোলী শস্য।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে বেশ কিছু গাড়ি যানজটের কারণে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ওই মাছও জলদি সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢুকবে। ইলিশ বোঝাই ট্রাক নিয়ে ভারতে আসা বাংলাদেশের এক ট্রাক চালক বলেন, ‘‘খুলনা থেকে আমরা এই ইলিশ নিয়ে এসেছি। এটা পুজোর উপহার।’’
হাওড়ার পাইকেরি বাজার ছাড়াও শিয়ালদহ, পাতিপুকুর এমনকী শিলিগুড়িতেও যাবে ওই ইলিশ। এক ব্যবসায়ী জানান, বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসার খুশি তো আছেই। পুজোর আগে পুরো মাছ চলে আসবে বলে মনে হচ্ছে। এ বার থেকে নিয়মিত মাছ আসবে।