কীভাবে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ফাঁদে গ্রাহকরা? তদন্তে ফাঁস `মোডাস অপারেন্ডি`
কলকাতায় ব্যাঙ্ক জালিয়াতির শিকার শতাধিক গ্রাহক। মূলত কানাড়া ও স্টেট ব্যাঙ্ক গ্রাহকরাই জালিয়াতির শিকার।
প্রাথমিক তদন্তের পর, তদন্তকারীরা নিশ্চিত অনলাইনেই সমস্ত টাকা লোপাট করা হয়েছে।
কীভাবে জালিয়াতি করছে অপরাধীরা? দুটি সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে।
প্রথমে ফেক ওয়েবসাইট খুলে কার্ডের বিস্তারিত তথ্য তুলে নিচ্ছে হ্যাকাররা। এরপর হ্যাকাররা অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত মোবাইলের সিম হ্যাক করে নিচ্ছে।
এরফলে ওটিপি চলে যাচ্ছে হ্যাকারদের হাতে। যার সাহায্যে গ্রাহকরা কিছু বোঝার আগেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে।
হ্যাকাররা যখনই চাইছে তখনই ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড ডিটেল দিয়ে টাকা তুলে নিচ্ছে।
এছাড়াও, এটিএমে মেশিনের কার্ড স্লটে 'কপিয়ার' বসিয়ে কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে হ্যাকাররা। এই 'কপিয়ার' বা স্কিমিং মেশিন আকারে ৩-৩.৫ ইঞ্চির থেকে বড় হয় না। ফলে এটিএম মেশিনের কার্ড সোয়াইপ করার জায়গায় খুব সহজেই এটি লুকিয়ে রাখা যায়।
এরপর যখন কোনও গ্রাহক সেই এটিএম মেশিন থেকে টাকা তুলতে যাচ্ছেন, তখন তাঁর কার্ডের তথ্য ওই যন্ত্রের মাধ্যমে হ্যাকারদের হাতে চলে আসছে। ফলে খুব সহজেই নকল কার্ড তৈরি করে ফেলতে পারছেন গ্রাহকরা।
আর এটিএম-এর সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই হ্যাক করা হচ্ছে কার্ড-এর পিন। তদন্তকারীদের ধারণা, এই জালিয়াতি চক্রের পিছনে বহু ক্ষেত্রেই জড়িত সংশ্লিষ্ট এটিএম-এর নিরাপত্তারক্ষীরা।
তদন্তে উঠে এসেছে আরও একটি তথ্য। প্রতিক্ষেত্রেই অ্যাকাউন্ট থেকে লুট করা হয়েছে সর্বাধিক ৫০ হাজার টাকা। কারণ, সাধারণত এটিএম কার্ড দিয়ে একদিনে এর থেকে বেশি পরিমাণ টাকা তোলা যায় না।