Viral Samosa in Bardhaman: সিঙাড়াপ্রেমীদের রসনা তৃপ্তিতেই `রোদ্দুর` বর্ধমানের চাতরের অমলকান্তি...

Thu, 28 Nov 2024-9:29 pm,

পার্থ চৌধুরী: চাতরের সিঙাড়া।  পূর্ব বর্ধমানের শ্যামসুন্দর গ্রামের একটি মোড়ের নাম চাতর। এখানে সিঙাড়াই হট আইটেম। 

 

 

রসিকেরা বলেন,  একবার মুখে দিলেই এমন মজা যে ভুলে যাওয়া যায় না। ওইপথ দিয়ে যারা যাওয়া আসেন তারা একদফা ঢুঁ মারবেনই ওই দোকানে।  সিঙাড়া খোলায় পড়তে না পড়তেই মিলিয়ে  যায়। তাই এই সিঙাড়ার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে একটা বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। সামাজিক মাধ্যমের বিস্তারের ফলে রীতিমতো আরো পরিচিত হয়ে উঠেছে এই সিঙাড়া।

 

কিন্তু কী  জাদু আছে এই সিঙাড়ার? যার জেরে এত নামী  হয়ে উঠল এই সিঙাড়া।

 

এই দোকানের সিঙাড়ার তৈরির কাজ শুরু হয় বিকেল ঠিক তিনটেয়। বিক্রি শুরু হতে না হতেই পড়ে যায় লম্বা লাইন। সন্ধে ৭ টার মধ্যেই ফিনিশ হয়ে যায় এই সিঙাড়া।

 

দোকানের মালিক অমলকান্তি হাঁটি। এই অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চাননি। তিনি এখন সিঙাড়া ভাজেন। পঁচিশ বছর ধরে নিজেই বানিয়ে আসছেন সিঙাড়া। দাম ৭ টাকা প্রতি পিস। 

 

কিন্তু কী এমন রহস্য আছে এতে? অমলকান্তি জানালেন, 'এই কাজ আমি নিজে শিখেছি। করতে করতে মানুষের ভালবাসা পেয়ে গেছি।  তার কথায়, নারকেল, কিশমিশ, বাদাম, ধনেপাতা, কাশ্মিরী মেথিপাতা আরও নানা জিনিস দিয়ে বানানো হয় এই সিঙাড়া। এই সিঙাড়ার কোনও সিক্রেট মশলা নেই। তবে নামী ব্রান্ডের মশলা ব্যবহার করা হয় এই মশলায়'।

 

তাঁর মেয়ে মুনমুন খাঁ বাবাকে সাহায্য করতে আসছেন কিছুদিন যাবৎ। বললেন, 'বাবার বয়স হচ্ছে। আর একা করা সম্ভব নয়। প্রতিদিন ১২০০-১৩০০ সিঙাড়া বিক্রি হয়। কমবেশিও হয়। বানানোর উপরে।

 

ক্রেতারা মাত এই স্বাদে। ক্রেতা শেখ ফজলুল হক জানালেন, 'যেদিন আসবেন সেদিনই লাইন দেখতে পাবেন। কোয়ালিটিটাই আসল কারণ'।

 

নিয়মিত ক্রেতা অরিন্দম খাঁ জানান, '১৫ কিলোমিটার দূর থেকে এর টানে এসেছি। স্ত্রী ও মেয়ে এই স্বাদের ভক্ত। তাদের জন্যও নিয়ে যাব। কয়েকজন বন্ধুও এসেছেন আমার সঙ্গে'।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link