One Day Trip From Kolkata: আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে চলুন শহরের কাছেই আশ্চর্য সুন্দর এই স্পটে...
যে-মানুষটি প্রথম ব্রিটিশদের চোখে চোখ রেখে কথা বলেছিলেন তাঁর স্মৃতি বিজড়িত এই ব্যারাকপুর। মঙ্গল পাণ্ডে। তাঁর হাত ধরেই স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু এ দেশে। গঙ্গার পাড়ে অপূর্ব জনপদ। রয়েছে গান্ধী মিউজিয়াম, ধোবি ঘাটের মতো রমণীয় জায়গা। কলকাতা থেকে মাত্র ৩১ কিলোমিটার দূরে অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ।
হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত চুঁচুড়া খুবই মনোরম এক জায়গা। ডাচ কলোনি হিসেবে খ্যাত। স্থাপত্যের শহর। সংস্কৃতির অনন্য মিশেল এখানকার জলহাওয়ায়। এখানেই আছে বঙ্কিম বন্দেমাতরম ভবন। এখানকার ঘড়ির মোর খুবই বিশিষ্ট স্থান।
চন্দননগরও এক অসাধারণ জায়গা। কলকাতার কাছেই। এককালের ফরাসি উপনিবেশ। জায়গাটির সঙ্গে শিক্ষা-সংস্কৃতির যোগ গাঢ়। সব চেয়ে বড় কথা এই জায়গাটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ ও শ্রীঅরবিন্দের স্মৃতি। এখানকার ভবনগুলি ব্রিটিশ আর্কিটেকচার, নবাবি স্থাপত্য, আবার ফরাসি শৈলীর উদাহরণ। গঙ্গার ধারের এই শহরে একটি বিকেল আশ্চর্য সুন্দর কেটে যেতে পারে।
কলকাতা থেকে ৪৮ কিমি দূরের উত্তর চব্বিশ পরগনার বাবুর হাট। তরতাজা হয়ে আসার জন্য আদর্শ। সরাসরি গাড়িতে যেতে পারেন। অথবা মিনাখা থেকে বাসন্তী হাইওয়ে হয়ে বাবুর হাট পর্যন্ত পৌঁছতে পারেন। কলকাতা ও মালঞ্চের মধ্যে যে বাস চলে তা বাবুর হাট হয়ে যায়। মালঞ্চ বাবুর হাট থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে। বিদ্যাধরী ও ইছামতি নদীর সংগমস্থলে অবস্থিত মালঞ্চ।
কলকাতা থেকে হাত বাড়ালেই ফলতা। মাত্র ৫০ কিমি দূরের এই জায়গাটা উইকেন্ড গেটওয়ে হিসেবে জনপ্রিয়। রিভার টাউন হিসেবেও ফলতা অসাধারণ। হুগলি নদী ও দামোদর নদীর মিলন দক্ষিণ দিকে, উত্তরে রূপনারায়ণ আর হুগলির সঙ্গম। এখানে বসু বিজ্ঞান মন্দিরের একটি অসাধারণ ফার্ম হাউস আছে। এছাড়া ফলতা জেটিটিও অসাধারণ জায়গা। ফলতা গেলে নদীর ধার ধরে হাঁটতে ভুলবেন না।
হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত ডায়মন্ড হারবার যে কতভাবে বাঙালির স্মৃতিতে-সংস্কৃতিতে ফিরে ফিরে এসেছে! আজও একটি দিন, একটি বেলা বা কয়েকটি ঘণ্টা কাটাবার পক্ষে আদর্শ জায়গা এই হীরক বন্দর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই জায়গা।
আপনি যদি প্রকৃতি ভালোবাসেন তবে আপনার সেরা গন্তব্য হবে টাকি। টাকির গোলপাতার জঙ্গল এক অসাধারণ জিনিস। গোলপাতা আর সুন্দরী গাছে ভরা জায়গাটি। কলকাতা থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরের এই জায়গা মন কাড়বেই সকলের।
এতক্ষণ যেরকম ডিসট্যান্সের জায়গা নিয়ে আলোচনা চলছিল, তার চেয়ে একটু বেশি দূরে জয়পুর। কলকাতা থেকে ১২৭ কিমি। নিবিড় জঙ্গলের স্বাদে পরিপূর্ণ বাঁকুড়ার এই জায়গাটি বারবার যাওয়ার মতো।