কোথাও অটো ভাঙচুর; কোথাও কেড়ে নেওয়া হল বাসের চাবি, দেখুন অবরোধ-বিক্ষোভের খণ্ডচিত্র
বাম বিরোধীদের ভারত বনধকে কেন্দ্র করে রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় রেল, সড়ক অবরোধ করে ধর্মঘটিরা। কোথাও সরকারি গাড়ি ভেঙে, কোথাও অটো ভেঙে বনধ সফল চেষ্টা করেন তাঁরা। টায়ার জ্বালিয়ে, কোথাওবা জোর করে দোকান বন্ধ করারও চেষ্টা হয়। সকালেই দমদম রেল স্টেশনে বুকিং কাউন্টার বন্ধ করে দিল সিপিএম। রেল ও কলকাতা পুলিশের সামনেই গায়ের জোরে কাউন্টার বন্ধ করে দেয় ধর্মঘটিরা। মেট্রো ও সাধারণ ট্রেনের সমস্ত বুকিং কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়ে যান যাত্রীরা। পুলিশ কার্যত দর্শক। কনিনিকা ঘোষ ও দুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটে।
উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে রেল অবরোধ করা হয়। রেললাইনের উপরে বসে পড়ে স্লোগান দিতে শুরু করে অবরোধ কারীরা। একইসঙ্গে স্টেশন সংলগ্ন যশোর রোড অবরোধ চলে। ১ ঘন্টার বেশি সময় ধরে চলে অবরোধ। বন্ধ হয়ে যায় শিয়ালদহ-বনগাঁও শাখার ট্রেন চলাচল। অবরোধ করা হয় বেলঘড়িয়া, অশোকনগর, হৃদয়পুর স্টেশনে। যাদবপুরে সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে রেল অবরোধ করা হয়।
খড়পুরের হিজলিতে অবরোধ করেন ধর্মঘটিরা। খড়গপুর, পাঁশকুড়া ও হলদিয়ায় অবরোধ করে সিপিএম ও এসইউসিআই। পাঁশকুড়ায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করা হয়। রাস্তা আটকানো হয় হলদিয়াতেও। হলদিয়া বন্দরে কাজকর্ম অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। কোনও অশান্তি হয়নি।
মালদায় সরকারি বাসের ওপরে হামলা চালায় ধর্মঘটিরা। সেখান ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে সরকারি বাসের কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। আটকে দেওয়া হয় দূরপাল্লার বাস। যাত্রী নামিয়ে বাস ভাঙচুর করা হয়। শুধু তাই নয় শহরের ভেতরে ভাঙা হয় বেশকিছুপ অটো। সরকারি অফিস-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেনি। এক প্রকার বনধ সমর্থকদের দখলেই চলে যায় শহর।
সকালেই যাদবপুর, বারাসতের হেলা বটতলা, হৃদয়পুরে লেললাইন ও বারাসত কারশেডের সামনে উদ্ধার হয় বোমা। বৈদ্যবাটিতে বাসের চাবি কেড়ে নিয়ে চালককে নামিয়ে দেওয়া হয়। বারাসতে জোর করে দোকান বন্ধ করার চেষ্টা হয়। তমলুকে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়।
সকালে বনধের প্রভাবে কোচবিহারে বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট। স্বল্প যাত্রী নিয়ে সরকারি বাস কিছু চললেও বেসরকারি বাস বন্ধ | নিরাপত্তার খাতিরে মাথায় হেলমেট পরে বাস চালাচ্ছেন সরকারি বাস চালকরা। অশান্তি এড়াতে বিভিন্ন রাস্তায় মোতায়েন পুলিশ বাহিনী
দমদম বিমানবন্দরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি। যদিও অন্য দিনের তুলনায় ট্যাক্সি রয়েছে কম । বিমানবন্দরে বেশ কয়েকজন দালাল যাত্রীদের সমস্যা সৃষ্টি করলেও পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক। বিমান বন্দরে ধর্মঘটিদের তেমন প্রভাব নেই । যদিও যাত্রীরা ধর্মঘটের জেরে আতঙ্কিত হওয়ায় তারা আগেভাগেই উপস্থিত হন বিমানবন্দরে।
আইটি সেক্টর সাধারণত বনধের কোনও প্রভাব পড়ে না। তবে এবার সরকার ২২ শতাংশ বেশি বাস চালালেও সেইসব বাসে লোকসংখ্যা বেশ কম। সকাল নটা নাগাদ চিংড়িঘাটা মোড়ে দেখা গেল যাত্রীসংখ্যা বেশ কম। অনেকেরই অভিযোগ অফিস কোনও কারপুলের ব্যবস্থা করেনি। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করেন নরেন্দ্রপুরের রুমা রায়। তিনি জানালেন ১ ঘণ্টা লাগলো নরেন্দ্র পুর থেকে আসতে।