`১৫ জুনের পর থেকেই বাজার ভরে যাবে টন টন বড় ইলিশে`, বলছেন মৎস্যজীবী থেকে ইলিশ বিশারদ
নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউনের জেরে এবার জমিয়ে বাঙালির ইলিশ রসনা তৃপ্তি হতে পারে। করোনা আবহে বাঙালির পাতে পড়তে পারে বড় মাপের ইলিশ। আসলে লকডাউনের জেরে খোকা ইলিশ প্রায় তোলা-ই হয়নি। ফলে সেই ইলিশ এখন ওজন বাড়িয়ে বাজারে আসছে। এছাড়া লকডাওনের পরেও আমফানের তাণ্ডব।
মৎস্যজীবীরা বলছেন, প্রায় ১০০ দিন পর তাঁরা মাছ ধরতে বেরবেন। পাশাপাশি, লকডাউনের জেরে গাড়ি না চলায় বাতাসে দূষণের মাত্রা কমেছে। সেই প্রভাব পড়েছে ইলিশের উপরেও। সেইসঙ্গে খোকা ইলিশের চোরা শিকার বন্ধ থাকায় ইলিশের বংশবৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি বেড়ে ওঠার সময়ও পেয়েছে।
মৎস্যজীবীরা বলছেন, এপ্রিল থেকে জুন ইলিশের প্রজননের সময়কাল। এর পরবর্তী সময় ইলিশ মাছের বেড়ে ওঠার সময়। এবছর প্রজননের সময়ে সেরকমভাবে ইলিশ মাছ বাজারে আসেনি। পাশাপাশি মোহনায় থাকা ৫০০ থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশও বড় হয়েছে। একইসঙ্গে দিঘার সমুদ্র পরিষ্কার হয়েছে। ফলে ইলিশের আসার পথ পরিষ্কার হয়েছে।
ইলিশ বিশারদ অতুল দাস বললেন, ইলিশ মিষ্টি জল খেতে মোহনাতে আসে। ঠিক সময়ে বর্ষা আসায় ইলিশ ভালো আসবে। ১৫ জুনের পর জেলেরা মাছ ধরতে পারবে। তারউপর পশ্চিমবঙ্গের ইলিশ রপ্তানি হয় না। পাশাপাশি বাংলাদেশও এই বছর আরও বেশি ইলিশ দেবে। গত বছর ৫০০ টন দিয়েছিল। ফল দুই বঙ্গ মিলিয়ে তখন খুবই ভালো হবে।