মোদী-শাহ কথা রাখেননি, মমতা যা বলেন তাই করেন, একুশের আগে ডিগবাজি গুরুংয়ের
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী হোক বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেউ প্রতিশ্রুতি রাখেননি। কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকেই ফের মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চাই। একুশের আগে ডিগবাজি খেয়ে ঘোষণা করলেন বিমল গুরুং। ৩ বছর ফেরার থাকার পর বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করে দিলেন, আগামী বিধানসভা তৃণমূলকেই সমর্থন করবেন।
দার্জিলিঙে বিমল গুরুংকে সঙ্গে নিয়ে লোকসভা ভোটে দিতে আসছে বিজেপি। ২০১৯ সালে গুরুংয়ে বাছাই রাজু বিস্তাই হন বিজেপি প্রার্থী। সেই গুরুংই এখন এনডিএ ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ''প্রধানমন্ত্রী হোক বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী- কেউই কমিটমেন্ট রাখেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে যে কমিটমেন্ট করেছেন, সব পূরণ করেছেন। আজ থেকে এনডিএ ছাড়ছি। ২০২১ সালের নির্বাচনে আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জোটে লড়াই করব। বিজেপিকে মোক্ষম জবাব দেব।''
লোকসভা ভোটের পর থেকে উত্তরবঙ্গে শক্তি বেড়েছে বিজেপির। সেই উত্তরবঙ্গেই যতটা বেশি সম্ভব আসন তৃণমূলের ঝুলিতে পুরতে চান বলে জানালেন গুরুং। তাঁর কথায়,''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চাই। মমতা একটাই। বাইরে বসে দেখেছি। যা বলেন, তাই তিনি করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করছি, পাহাড়ের স্থায়ী সমাধান চাই। পাহাড় তরাই ডুয়ার্সের উন্নতির জন্য ওঁর সঙ্গে কাজ করতে চাই।''
স্থায়ী সমাধান মানে কী? গুরুংয়ের জবাব, স্থায়ী সমাধান হল গোর্খাল্যান্ড। এটাই মূল বিষয়। তৃণমূল থেকে কি কোনও ধরনের প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন? কারও সঙ্গে আলোচনা হয়নি বলে দাবি করেন গুরুং।
তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধেই তো মুখ খুলেছেন? বিমল গুরুংয়ের জবাব, রাজনীতিতে কেউ স্থায়ী শত্রু বা বন্ধু নয়। স্থায়ী সমাধান যে করবে, ২০২৪ সালে সেই পার্টিকেই সমর্থন করব।
একাধিক মামলা থেকে বাঁচার জন্য কি মমতায় আস্থা? গুরুং বলেন''আমি অপরাধী নই, দেশদ্রোহীও নই। আমাকে গ্রেফতার করলেও কোনও সমস্যা নেই। পাহাড়ের মানুষের জন্য রাজনৈতিক স্থায়ী সমাধান চেয়ে এসেছি।''
৩ বছর ফেরার থাকার পর বুধবার বিকেলে সল্টলেকের গোর্খা ভবনে হাজির হন বিমল গুরুং। গাড়ি থেকে নামেননি তিনি। সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তরও দিতে চাননি। বলেন,''ভিতরে গিয়েই যা বলার বলব।'' গোর্খা ভবনেই সাংবাদিক বৈঠক করার কথা ছিল তাঁর। তবে গোর্খা ভবনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি গুরুংকে। খোলেনি গেট।