5G পরীক্ষায় নেদারল্যান্ডসে পাখি মৃত্যুর খবর ভুয়ো
২০১৯ সালের প্রথম দিকেই দিল্লিতে 5G পরিষেবা পরীক্ষা করা হবে। কিন্তু তার আগেই নেদারল্যান্ডসে ফাইভ জি-র পরীক্ষায় পাখি মৃত্যুর খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরের একটি পার্কে ফাইভ জি-র পরীক্ষা করতে গিয়ে প্রায় ৩০০টি পাখি মারা গিয়েছে বলে খবর।
গ্যালাকটিক কানেকশন নামে একটি ওয়েবসাইটের দাবি, এক সপ্তাহ আগে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে একটি পার্কে পাখিদের মৃত্যুমিছিল লক্ষ্য করেন শহরবাসী।
ওই ওয়েবসাইট দাবি করেছিল, প্রাথমিক তদন্তে খবর মিলেছে, ওই পার্কে ফাইভ জি পরিষেবার পরীক্ষা করা হয়েছিল। তারপরই আশপাশের পাখিরা গাছ থেকে পড়ে মরতে থাকে। আশেপাশের পুকুরে হাঁসেদের হাঁটাচলাও বদলে যায়। রেডিয়েশন থেকে বাঁচতে বারবার পুকুরে নেমে গিয়েছে তারা। কয়েকটি হাঁস এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছিল বলে খবর।
ওয়েবসাইটটি আরও দাবি করে, পক্ষীদের মৃতদেহের পরীক্ষা করা হয়েছে গবেষণাগারে। তাদের শরীরের বাইরে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। তবে ভিতরে ভারীমাত্রায় রক্তক্ষরণ হয়েছে। এটা বিপজ্জনক রেডিয়েশনের ফলে হতে পারে বলে আশঙ্কা।
কিন্তু এই গোটা খবরটিই ভুয়ো বলে জানা গিয়েছে। নেদারল্যান্ডসে 5G পরীক্ষায় কোনও পাখির মৃত্যু হয়নি। গোটাটাই ভুয়ো। পরিকল্পিতভাবেই এই খবরটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ফাইভ জি পরীক্ষার জেরে কোনও পাখির মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছে নেদারল্যান্ডসের স্থানীয় প্রশাসন।
কিন্তু ততক্ষণে ভুয়ো খবরটি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কয়েকটি ছবি থাকায় অনেকেই ভেবেছিলেন সেগুলি ওই মৃত পাখিগুলির। কিন্তু, ভুয়ো খবরটিকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুললেই এই ধরনের ছবি জোগাড় করা হয়েছিল।
সদ্য ২.০ ছবিতে স্মার্টফোনের রেডিয়েশনের প্রভাবে পাখিদের মৃত্যু দেখানো হয়েছিল। ছবিতে অক্ষয় কুমারের চরিত্রটিকে একটি অতিকায় পাখির ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। ছবিতে চরিত্রটি দাবি করেছে, সেলফোনের ও টাওয়ার থেকে রেডিয়েশনের জেরে মৃত্যু হচ্ছে পাখিদের। ফোন ব্যবহারকারীরা অবলা পক্ষীদের হত্যাকারী। কিন্তু এই ছবিটি নিয়েও আপত্তি জানিয়েছিলেন মোবাইল অপারেটরা। কারণ, তাদের বক্তব্য, মোবাইল ফোনের জেরে পাখি মৃত্যুর কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি।
ইতিমধ্যে মোবাইল রেডিয়েশনের ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জুহি চাওলা। এমনকি ফাইভ জি প্রযুক্তি নিয়ে আশঙ্কা ব্যক্ত করে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকে চিঠিও দিয়েছেন বলিউডের অভিনেত্রী।