Birthday Special : প্রেমিকা শর্মিলাকে তাক করেই ছক্কা হাঁকাতেন, ভয়াবহ দুর্ঘটনায় এক চোখ হারান টাইগার
বেঁচে থাকলে আজ ৮০ বছরের জন্মদিনে পালন করতেন। ১৯৪১ সালের ৫ জানুয়ারি ভোপালে নবাব বংশে জন্মেছিলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মনসুর আলি খান পতৌদি।
আক্রমণাত্মক ক্যাপ্টেন হিসাবে সৌরভ গাঙ্গুলি ও বিরাট কোহলির উদাহরণ দেন ভারতীয় সমর্থকরা। কিন্তু তাঁদের অনেক আগেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ক্যাপ্টেন্সির জন্য জনপ্রিয় হয়েছিলেন Mansoor Ali Khan Pataudi.
মাত্র ২১ বছর বয়সেই ভারতীয় দলর অধিনায়ক হয়েছিলেন টাইগার। তাঁর গোটা জীবন কোনও সিনেমার প্লট-এর থেকে কম নয়। দুর্ঘটনায় এক চোখ হারানো থেকে সেই সময় বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে প্রেম, ঘাত-প্রতিঘাতের যেন শেষ নেই।
Tiger Pataudi-র যখন মাত্র ১১ বছর বয়স, তখনই তাঁর বাবা মারা যান। এর পরই টাইগার ইংল্যান্ডে চলে যান। সেখানেই পড়াশোনা, ক্রিকেট নিয়ে থাকতেন তিনি।
১৯৬১ সালে ইংল্যান্ডে এক ভয়ানক দুর্ঘটনায় এক চোখ হারান তিনি। তখন তাঁর ২১ বছর বয়স। গাড়ির ভাঙা কাঁচ তাঁর ডান চোখে গেঁথে গিয়েছিল। সময় মতো হাসপাতালে পৌঁছলেও তাঁর সেই চোখ বাঁচানো যায়নি।
দুর্ঘটনার পর ছমাস বিছানা শুয়ে থাকতে হয়েছিল টাইগারকে। ডান চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ওই বছরই ডিসেম্বর মাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষেক হয় তাঁর। প্রথম ম্য়াচেই ১০৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন।
আত্মজীবনীতে টাইগার লিখেছিলেন, accident-এ চোখ হারানোর পর ক্রিকেট খেলতে পারবেন বলে ভাবতেই পারেননি তিনি। কারণ সেই সময় গ্লাসে জল ঢালতেও সমস্যায় পড়ছিলেন তিনি।
তাঁর জীবনে প্রেম এসেছিল ঝড়ের মতো। সুন্দরী শর্মিলা ঠাকুরকে প্রথম দেখাতেই মন দিয়ে বসেন নবাব পতৌদি। কিন্তু প্রেমের পরিণতি সহজে হয়নি। পতৌদি নবাব বংশের। শর্মিলা বলিউড অভিনেত্রী। তার উপর দুজনের ধর্মও ছিল আলাদা।
মজার ব্যাপার, সম্পর্কের শুরুতেই শর্মিলাকে রেফ্রিজারেটর উপহার হিসাবে দিয়ে বসেন পতৌদি। অনেকেই বলতেন, শর্মিলা মাঠে গেলে ছক্কা দিয়ে স্বাগত জানাতেন টাইগার।
টাইগার একবার বলেছিলেন, ''শর্মিলা যেখানে বসত সেদিকেই তাক করে ছক্কা হাঁকাতাম। ছক্কা দিয়েই ওর মন জিততে চেয়েছিলাম।'' উল্লেখ্য, 1969 সালে বিয়ে হয়েছিল শর্মিলা-টাইগারের।