`৫ মাস পরই আসল ছবি সামনে আসবে`, নৈহাটি পুরসভার আস্থা ভোটে বিরত থেকে হুঙ্কার অর্জুনের

Wed, 16 Oct 2019-1:50 pm,

নিজস্ব প্রতিবেদন : "৫ মাস পরই পুরনির্বাচন। তখনই সামনে আসবে আসল ছবিটা। এখন তো পুলিস দিয়ে, ভয় দেখিয়ে বোর্ড দখল করেছে তৃণমূল। একারণেই নৈহাটি পুরসভার আস্থা ভোটে অংশ নেয়নি বিজেপি। এটা দলীয় সিদ্ধান্ত।" আজ নৈহাটি পুরসভার আস্থা ভোটে একজন বিজেপি কাউন্সিলরও উপস্থিত না থাকা ও ভোটাভুটিতে অংশ নেওয়ার প্রসঙ্গে এমনটাই জানিয়েছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং।

প্রসঙ্গত, ৩১ জন কাউন্সিলর নিয়ে ৩৩ আসনের নৈহাটি পুরসভা দখলে রেখেছিল তৃণমূল। কিন্তু লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর সেই ৩১ জনের মধ্যে ১৮ জন কাউন্সিলর ঘাসফুল ত্যাগ করে পদ্মশিবিরে গিয়ে নাম লেখায়। ফলে ৩৩ ওয়ার্ডের নৈহাটি পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় তৃণমূল। জোরালো হয় বিজেপির বোর্ড দখলের সম্ভাবনা।

এখন রাজনীতিতে বরাবরই চমক অপেক্ষা করে থাকে। সব সময়ই নাটকীয় মোড় থাকে। কয়েকদিনের মধ্যেই দলত্যাগী ১৮ জনের মধ্যে 'ঘর বাপসি' করে তৃণমূলে ফিরে আসেন ১০ জন কাউন্সিলর-ই। এরপর দ্বিতীয় দফায় আরও ৩ জন কাউন্সিলর বিজেপি থেকে ফেরত এসেছেন বলে দাবি করে তৃণমূল নেতৃত্ব। ফলে নৈহাটি পুরসভায় তাদের কাউন্সিলর সংখ্যা ২৬ বলে দাবি করে তৃণমূল।

অবশেষে আজ ছিল আস্থা ভোট। হাইকোর্টের নির্দেশে আজ বারাসতে জেলাশাসকর দফতরে ভোটাভুটি হয়। ভোটাভুটি হতে দেখা যায় ২৪ জন কাউন্সিলর তৃণমূলের হয়ে ভোট দিয়েছেন। বিজেপির কেউ ভোট দেননি। যারফলে ৩৩ ওয়ার্ডের নৈহাটি পুরবোর্ড ২৪-০-এ পুনর্দখল করল তৃণমূল।

লোকসভা ভোটের ফলাফলে বঙ্গে বিজেপির ব্যাপক উত্থানের পরই দল ভাঙিয়ে পুরসভা দখলের কৌশল নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। সেই তালিকায় অন্যতম টার্গেট ছিল নৈহাটি পুরসভা। কিন্তু, সেই কৌশল ফলপ্রসূ হয়নি বুঝতে পেরেই খানিকটা ব্যাকফুটে চলে যায় বিজেপি। মুকুল রায়কে টেক্কা দিয়ে এবার বনগাঁর পর নৈহাটি পুরসভাও পুনরুদ্ধার করে নিল তৃণমূল।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link