প্রতিবাদের শহরে সমর্থনের ব্যারিকেড গড়ল গেরুয়া জোয়ার, অক্সিজেন দিল মোদী-শাহকে
নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতা প্রতিবাদের শহর। ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার আর এক নাম। বাঙালি মানেই প্রতিবাদী। সেই প্রতিবাদের শহরই আজ দেখল ব্যারিকেড ভাঙা নয়, বরং ব্যারিকেড গড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে নামল জনতার ঢল।
সোমবার, কাজের দিন ওয়েলিংটন থেকে শুরু হয়েছিল বিজেপির পদযাত্রা। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের সমর্থনের যার নাম অভিনন্দনযাত্রা দিয়েছিল রাজ্য নেতৃত্ব।
অভিনন্দনযাত্রায় সামিল হলেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ রাজ্যের সমস্ত নেতারা।
অভিনন্দনযাত্রায় ভিড়ের শুরুটা দেখা গেলেও শেষটা নেই। লোকে লোকারণ্য জনপথ। অমিত শাহের রোড শোয়ের থেকে বেশি লোক এল এদিন।
কলকাতা বরাবরই প্রতিবাদের শহর। প্রতিষ্ঠানবিরোধিতাই এই শহরের চরিত্র। এই শহরেই প্রতিবাদী মুখ হিসেবে উঠে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কলকাতাতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে লাগাতার কর্মসূচি নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সেই কলকাতাতেই এদিন বিজেপির ভিড় টেক্কা দিল রাজনৈতিক বিরোধীদের।
দেশভাগের যন্ত্রণা ভোগ করেছে বাংলা। এখনকার বহু মানুষ ওপার বাংলার। বিজেপি বারবার প্রচার করে আসছেন, উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দিতেই আইন এনেছেন মোদী। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে মতুয়াদের দীর্ঘদিনের নাগরিকত্বের দাবি। সেই আবেগই চোখে পড়ল রাজপথে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, বাংলায় লোকসভা ভোটে মেরুকরণের ফায়দা তুলেছিল বিজেপি। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এনে সেই মেরুকরণ আরও চওড়া হবে বলে আশা করেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। তার আঁচই সম্ভবত মিলল পদযাত্রায়।
তবে নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থান তুলে ধরতে বিজেপির সভায় মুসলিম মুখও দেখা গেল।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভে দিশেহারা বিজেপি। এমতাবস্থায় কলকাতার ভিড় অক্সিজেন দিল মোদী-শাহকে। সেটার আভাস মিলল জেপি নাড্ডার কথাতেই। তিনি বলেই দিলেন, এই ভিড় বলছে নাগরিকত্ব সংশোধনীকে সমর্থন করেছেন বাংলার মানুষ।