চিনের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে `মেড ইন ইন্ডিয়া`র বগিবিল সেতু

Tue, 25 Dec 2018-5:22 pm,

বগিবিল সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উদ্বোধনের আগে গাড়িতে সেতুটি ঘুরে দেখেন নমো। হাঁটতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। তিনসুকিয়া-নাহরলগুন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের যাত্রীদের হাত নেড়ে অভিবাদনও জানান প্রধানমন্ত্রী। 

ব্রহ্মপুত্র নদীর উপরে বগিবিল সেতু ৪.৯৪ কিলোমিটার লম্বা। সেতুর সঙ্গে রয়েছে ডবল ট্র্যাক লাইন। সেতুতে রয়েছে তিন লেনের সড়ক। সেতু তৈরিতে খরচ হয়েছে ৪,৮৫৭ কোটি টাকা। ১২০ বছর টিকতে পারবে সেতুটি। 

বগিবিল সেতু চালু হওয়ায় অসমের ডিব্রুগড় থেকে অরুণাচলপ্রদেশে পাসীঘাটের দূরত্ব ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত মকে গিয়েছে। এর ফলে প্রতিদিন ১০ লক্ষ জ্বালানির সাশ্রয় হবে। অরুণাচল থেকে ডিব্রুগড় পর্যন্ত যেতে আগে গুয়াহাটি যেতে হত। এবার আর ঘুরতে হবে না। 

তিনসুকিয়া-নাহরলগুন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস এবার সপ্তাহে ৫ দিন চলবে। ১০ ঘণ্টা কম সময় লাগবে ট্রেন সফরে।

শুধু যাতায়াতের সুবিধাই নয়, দেশের নিরাপত্তাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে বগিবিল সেতু। 

দীর্ঘদিন ধরে অরুণাচলপ্রদেশকে নিজেদের বলে দাবি করছে আসছে। সে কারণে বগিবিলের গুরুত্ব অপরিসীম।   

অরুণাচলের চিন সীমান্তে সেতুটির মাধ্যমে অত্যন্ত দ্রুত সেনা পৌঁছে যাবে। রেলপথ থাকায় সহজেই পৌঁছে যাবে রসদ। 

তিন লেনের সেতুর ধরে দ্রুত পৌঁছে যাবে সেনার ট্যাঙ্ক ও সাজোয়াঁ গাড়ি। 

শুধু তাই নয়, সেতুতে অবতরণ করতে পারে যুদ্ধবিমানও। 

অরুণাচলের কিবিছু, বলাঙ্গ ও চগলগামের সেনা চাউনি সহজে পৌঁছে যাবে বাহিনী। 

বলে রাখি, ২০০২ সালে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে শুরু হয়েছিল সেতু তৈরির কাজ। ২০০৯ সালের মধ্যে সেতু তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে সেতুর উদ্বোধন করলেন তাঁর রাজনৈতিক শিষ্য নরেন্দ্র মোদী। 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link