Mamata In Meghalaya: `কলকাতা থেকে মেঘালয় শাসন নয়; তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনুন, বদলটা বুঝতে পারবেন`
গুজরাটের তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলেকে মঞ্চে তুলে বিজেপিকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইটে বিজেপির সমালোচনা করায় সাকেতকে দু-দুবার গ্রেফাতার করে গুজরায় পুলিস। মমতা দাবি, শাসক হতে গেলে সহনশীল হতে হয়। সমালোচনা সহ্য করতে হয়। মেঘালয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে এভাবেই সরব হলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মেঘালয়ে পৌঁছেই গত ২২ নভেম্বর অসম পুলিসের গুলিতে নিহতদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ চেক তুলে দেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এখানে আসার পর দেখছি একটা গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে তৃণমূল বাঙালিদের দল। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস যদি বাংলার পার্টি হয় তাহলে বন্দেমাতরম, জনগনমন গান করেন কীভাবে। গানটা গোটা দেশের মানুষ গায়। রবীন্দ্রনাথ মেঘালয়ে বহুবার এসেছিলেন। মাদার টেরিজা কি শুধু বাঙালির? জাতপাতের নীরিখে কেন মানুষকে ভাগ করা কেন?
বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসেকে হিংসে করে কারণ ওরা অনেক চেষ্টা করেও আমাদের হারাতে পারেনি। ক্ষমতার অপবহ্যবহার করে কী করেনি ওরা? বাংলায় তৃণমূল যা করেছে মেঘালয়েও তাই হবে। বাংলায় আমরা যখন তৃণমূল গঠন করি তখন লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করেছিলাম। মানুষ আমাদের প্রতীক কী সেটাই জানতো না। কিন্তু প্রথমবারই আমরা ৭টি আসন পাই। এখন আমাদের হাতে ৩৬ সাংসদ রয়েছেন। মনে রাখবেন তৃণমূল এখন সর্বভারতীয়।
দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলকে অবহেলা করার অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, কেন বিজেপি এই অঞ্চলকে অবহেলা করে! কেন দিল্লি আর গুয়াহাটি থেকে মেঘালয়কে শাসন করার চেষ্টা করবে? আমরা চাই এই মাটির সন্তানরাই মেঘালয় শাসন করবে। বাইরের লোকরা নয়। গুলিতে মেঘালয়ের ৫ জনের মৃত্যু হল। মুখ্যমন্ত্রী নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন? তাদের চাকরি দিয়েছিলেন? আমাদের রাজ্যেও অনেককিছু হয়। আমরা চাকরি দিয়েছি, ক্ষতিপূরণ দিয়েছি। ভোটের আগে বিজেপির অনেক নেতাই এখানে আসেন। অনেক কথাই বলেন। ভোট ফুরোলে কী হয়? আমাদের রাজ্যে যেসব সামাজিক প্রকল্প রয়েছে তা অন্য রাজ্যে নেই। তুলনা করে দেখুন। তৃণমূল এখানে জিতলে বাংলার মতো সব প্রকল্প চালু হবে।
সামনেই ক্রিস মাস। আপনাদের বলব, কলকাতায় এসে দেখুন কীভাবে আমরা শহরটাকে সাজাই। আমকে বলুন তো ২৫ তারিখের ছুটি কেন বাতিল করল বিজেপি? পরিকল্পনা করে এসব করা হয়েছে। রবিবার ২৫ ডিসেম্বর। তাই বাংলায় আমরা পরদিন ছুটি দিয়েছি।
বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বলেন, বলুন তো মেঘালয়ের সঙ্গে কথা না বলে কেন সেখানকার জমি কেড়ে নেওয়া হল? মেঘালয়ের জমি ফিরিয়ে দিতে হবে। অসম রাইফেল আসবে, এখানে মানুষ মেরে যাবে। কতদিন এসব চলবে। তৃণমূলকে ভোট দিন, পরিবর্তনটা দেখতে পাবেন। আমাদের কোনও উদ্দেশ্য নেই যে কলকাতা থেকে মেঘালয়কে নিয়ন্ত্রণ করব। আমাদের লক্ষ্য, মেঘালয় শাসন করবে এখানকার ভূমিপুত্ররা। আমরা আপনাদের সাহায্য করব।