পুলিসের স্টিকার লাগিয়ে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা, নাকা চেকিংয়ে রোগী সমেত গাড়ি আটক বেলগাছিয়ায়
নিজস্ব প্রতিবেদন : পুলিসের স্টিকার লাগানো গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল রোগী। বেলগাছিয়ায় কলকাতা পুলিসের নাকা চেকিংয়ের সময় ধরা পড়ল সেই গাড়ি।
প্রাইভেট গাড়িতে পুলিসের স্টিকার লাগিয়ে কোনও অনুমতি পত্র ছাড়াই রোগী নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। গাড়িটিকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় আটক করে পুলিস। তারপরই সামনে আসে আসল গল্প।
পুলিস গাড়িটিকে আটকে রেখে রোগীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আজ বেলগাছিয়া যেতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। তাই সকাল থেকেই বেলগাছিয়াতে শুরু হয়েছে নাকা চেকিং।
বেলগাছিয়া ব্রিজের মুখে কলকাতা পুলিসের দল গাড়ি থামিয়ে নাকা চেকিং করছে। অপ্রয়োজনে কেউ বাড়ির বাইরে বেরলে, তাঁকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি পুলিসের স্টিকার লাগানো গাড়িও ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
প্রত্যেকটি গাড়ি ধরে ধরে চেকিং করা হচ্ছে। অনুমতি পত্র রয়েছে কি না, পরিচয় পত্র আছে কি না, সব যাচাই করার পরই গাড়ি যাওয়ার অনুমতি মিলছে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে সকালেই কথা হয় কলকাতা পুলিসের। তারপরই বাড়ে তৎপরতা। সোমবার রাজ্যে এসে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় দল। আজ তাদের কলকাতার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখার কথা।
সূত্রে খবর, সোমবার রাতে গুরুসদয় রোডের বিএসএফ-এর দফতরে ছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এদিন সকাল ১০ টা নাগাদ কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা সেখান থেকে একবার গাড়িতে করে বের হলেও, কয়েক মিনিটের মধ্যেই আবার গাড়ি ঘুরিয়ে ভিতরে চলে যান।
তারপরই বালিগঞ্জ থানার ওসিকে বিএসএফ-এর দফতরে আসতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর সেখানে আসেন ডিসি এএসডি দেবস্মিতা দাস।
সেখানে অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে যান তিনি। তারপরই হঠাৎ করে পুলিসের তৎপরতা চোখে পড়ে। ওই দফতরের সামনে শুরু হয়ে যায় নাকা চেকিং।
একসঙ্গে প্রচুর কলকাতা পুলিস সামিল হন নাকা চেকিংয়ে। তবে কলকাতা পুলিসের সঙ্গে কেন্দ্রীয় দলের অফিসারদের কী কথা হয়েছে, তা অবশ্য জানা যায়নি।