কর্তাদের ছাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর দরজায় সিবিআই, চাওয়া হয়েছে বাহিনী: সূত্র
আধিকারিকদের আটক হওয়ার পর সোজা দিল্লিতে কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করল সিবিআই। সূত্রের খবর, মন্ত্রকের কাছে বাহিনী চাওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীনস্থ কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ। ফলে বিষয়টি একেবারে চলে গিয়েছে উচ্চমহলে।
তার আগে সিবিআই কর্তাদের ছাড়াতে কলকাতা পুলিসের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে সংস্থার যুগ্ম ডিরেকটর।কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি।
এদিন তল্লাশি চালাতে কলকাতা পুলিস কমিশনারের বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। তা জানতে পেরে আগেভাগে লাউডন স্ট্রিটে কমিশনারের বাড়ির বাইরে জড়ো হন পুলিস কর্মীরা।
সিবিআই অফিসারদের বলা হয়, 'আপনারা থানায় যান। সেখানে নথিপত্র খতিয়ে দেখার পর রাজীব কুমারের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন'। পুলিস নিশ্চিত হতে চায়, সমস্ত নথি হাতে রয়েছে সিবিআইয়ের। সিবিআই ডিএসপি বর্ধনের সঙ্গে সঙ্গে কথাবার্তা চালান পুলিস আধিকারিকরা।
পুলিসের কথা মেনে, সিবিআইয়ের একটি দল শেক্সপিয়র থানায় গিয়ে কথা বলতে যান। সিবিআই স্পষ্ট জানায়, যে কাজ করতে এসেছেন, সেটা সম্পূর্ণ করেই যাবেন। নিয়ম মেনেই এসেছেন তাঁরা।
এরপরই রাজীব কুমারের বাড়ির বাইরে থাকা সিবিআই আধিকারিকদের আটক করে শেক্সপিয়র থানায় নিয়ে যায় কলকাতা পুলিস। সিবিআই কর্তারা যেতে চাইছিলেন না, জোর করে টানতে টানতে নিয়ে গাড়িতে তোলা হয় তাঁদের। এমনকি সিবিআইয়ের গাড়ির চালককে ঘাড় ধাক্কা দেওয়া হয়।
এরপরই রাজীব কুমারের বাড়ির বাইরে থাকা সিবিআই আধিকারিকদের আটক করে শেক্সপিয়র থানায় নিয়ে যায় কলকাতা পুলিস। সিবিআই কর্তারা যেতে চাইছিলেন না, জোর করে টানতে টানতে নিয়ে গাড়িতে তোলা হয় তাঁদের। এমনকি সিবিআইয়ের গাড়ির চালককে ঘাড় ধাক্কা দেওয়া হয়।
নজিরবিহীনভাবে অপরাধীর কায়দায় নিয়ে যাওয়া হয় সিবিআই কর্তাদের। এরপর রাজীব কুমারের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বাড়িতে পুলিসের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠর করছেন তিনি। এদিকে সিবিআইয়ের দফতর সিজিও কমপ্লেক্স ঘিরে ফেলেছে পুলিস।